দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাত্যহিক জীবনে সময় অনুযায়ী সবকিছু করা জরুরি। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে প্রায় সময়ই তা করা হয়না। দিনের শুরুতেই আমরা ধাক্কা খাই। সকালে বাসা থেকে বের হতে গিয়ে নানান কারণে দেরি করে ফেলি। কিছু উপায় অনুসরণ করে আপনি সকালের কাজগুলো ঠিকঠাক ভাবে করে সময়মত কাজে যেতে পারবেন।
প্রত্যেকদিন সকালে তাড়াহুড়ো না করে রুটিন করে কাজগুলো করুন, কিছু পরিবর্তন আনুন। চলুন জেনে নিই, কিভাবে সকালের সময়টিকে চাপমুক্ত করে সময়মত কাজে যাওয়া যায়।
দুপুরের খাওয়া আগের রাতে তৈরি করে রাখুনঃ
রাতের খাওয়ার পরে পরের দিনের দুপুরের খাওয়া তৈরি করে ফেলতে পারেন। এতে সকালে আর দুপুরের খাওয়া তৈরির চাপ থাকবে না। তবে ধরণ অনুযায়ী খাওয়া ফ্রিজে রাখতে হতে পারে।
বন্ধের দিনে সপ্তাহের পোশাক ঠিক করে রাখুনঃ
প্রত্যেকদিন কাপড় চোপড় নিয়ে দৌড়াদৌড়ি না করে বন্ধের দিনে কাপড় ধুয়ে ইস্ত্রি করে রাখুন। অতঃপর প্রতিদিনের পোশাক আলাদা আলাদা করে সাজিয়ে রাখুন। জামা কাপড়, জুতা মোজা, বেল্ট ও অন্যান্য কিছু একসাথে রাখবেন। তাতে কম সময়ে রেডি হওয়া যায়।
লাঞ্চ ব্যাগে গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী রাখুনঃ
প্রায় সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী যেমন মানিব্যাগ, চাবি, ঘড়ি প্রভৃতি লাঞ্চ ব্যাগে রাখতে পারেন। তখন আপনাকে শুধু লাঞ্চ ব্যাগ নেয়ার কথা মনে রাখতে হবে। এটা ওটা মনে করে নেয়ার ঝামেলা মুক্ত হবেন।
দাঁত মাজতে গিয়ে গোসল সেরে ফেলুনঃ
এতে খুব একটি সময় না বাঁচলেও কাজগুলো গুছানো হবে। বাথরুমের কাজ একসাথে সেরে ফেললে একদিকের কাজ শেষ হয়ে গেলো। পরেরগুলো আস্তে ধীরে করতে পারবেন।
চুল এমনভাবে কাটুন যাতে পরিপাটি করতে সময় কম লাগেঃ
এটি পুরুষ অপেক্ষা নারীদের জন্য বেশি দরকারি। কেননা চুল ধোয়া, শুকানো, আঁচড়ানো ইত্যাদি করতেই অনেক সময় চলে যায়। তাই আপনি এমন একটি হেয়ার কাট দিতে পারেন যাতে কম সময়ে তা পরিপাটি করা যায়। তবে আপনার রুচিকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে।
পরিচর্যা পণ্য কমিয়ে ফেলুনঃ
বডি স্প্রে, হেয়ার জেল, ক্রিম প্রভৃতি যদি অনেক রকমের থাকে তবে কোনটি ব্যবহার করবেন তাই নিয়ে দ্বন্দে পড়ে যান। তাই এই সামগ্রীগুলো কমিয়ে ফেলুন। এতে অর্থ সাশ্রয় হবে এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচবেন।
ফ্লাক্সে চা তৈরি করে রাখুনঃ
আগের রাতে অথবা সকালে উঠে চা বানিয়ে ফ্লাক্সে রাখতে পারেন। এতে নাস্তার পর আর ঝামেলা করতে হবে না। চা বানিয়ে তা গরম গরম পান করা যায় না। ফ্লাক্সে রাখলে কিছুটা ঠাণ্ডা হয়ে থাকবে।
আইস টি পান করতে পারেনঃ
আমাদের দেশে না হলেও বাইরের দেশে আইস টি খুব জনপ্রিয়। গরম করার ঝামেলা নেই, দুধ চিনি দিতে হয় না। শুধু চা হওয়ায় পান করে তৃপ্তি পাওয়া যায়। সময়ও কম যাবে আপনার।
আগে থেকে সকালের নাস্তা প্যাকেট করে রাখতে পারেনঃ
সকালের নাস্তা প্যাকেট করে রেখে অফিসে যাওয়ার সময় নিয়ে যেতে পারেন। গাড়িতে অথবা অফিসে খেতে পারেন।
অফিসে নাস্তা রাখতে পারেনঃ
অফিসের ড্রয়ারে শুকনো নাস্তা রাখতে পারেন। এতে অফিসের কাজের ফাঁকে সকালের নাস্তা সেরে ফেলতে পারেন।
আগেরদিন রাতে সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একত্রিত করে রাখুনঃ
বাইরে যেতে যা যা লাগে সবকিছু আগের রাতে একত্রিত করে রাখুন। এতে সকালে চাপ কমে যাবে, নিশ্চিন্ত ভাবে রেডি হতে পারবেন।
ফোন বন্ধ করে দিনঃ
সকালে তাড়াহুড়ার মধ্যে কলের উত্তর দেওয়া অথবা মেইল দিতে গিয়ে আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে। তাই সেল ফোনটি বন্ধ রাখুন। পরে বাসা থেকে বের হয়ে আবার চালু করতে পারেন।
এই ব্যস্ততার দিনে একটুখানি সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের উচিত যথাসাধ্য সময়টাকে কাজে লাগানো। তাই বলে সব সময় কাজে থাকতে হবে তা ঠিক নয়। নিজেকেও সময় দিতে হবে। তবে সবকিছু গুছিয়ে করলে পরিতুষ্টি আসে।
সূত্রঃ Wisebread