দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুগলের অত্যন্ত জনপ্রিয় সেবা গুগল স্ট্রিট ভিউ। এতে প্যানারমা ছবির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের শহরের স্থাপনা আর পথঘাট দেখা যায়। আমাদের জন্য সুখবর, খুব শীঘ্রই ঢাকা ও চট্টগ্রামকে যুক্ত করা হচ্ছে গুগল স্ট্রিটের তালিকায়।
২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি চুক্তি করে গুগল। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে স্ট্রিট ভিউর আওতায় নিয়ে আসবে গুগল। এই লক্ষ্যে তাৎক্ষনিক কাজ শুরু করে গুগল। তারা স্ট্রিট ভিউ কার, যেটির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থাপনার ছবি তোলে নেন, এবং এসব ছবি গুগল স্ট্রিট ভিউ হিসেবে কাজে লাগানো হয়। প্রাথমিক ভাবে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থাপনার ১০০টি প্যানারমিক ছবি তোলা হয়। এরমধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ ও স্থাপনা, যার দ্বারা শহরগুলোর পরিচয় পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের এক্সেস টু ইনফরমেশন এর পরিচালক কবির বিন আনোয়ারের বরাত থেকে জানা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থাপনার ছবি তোলার কাজ শেষ করেছে গুগল। চলতি বছরের মে মাস থেকে এই দুই শহরের জন্য স্ট্রিট ভিউ আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করবে তারা। এরপর একে একে অন্য শহরগুলোকেও এই সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মূলত ২০০৭ সালে প্রথম স্ট্রিট ভিউ সেবা চালু করে গুগল। প্রাথমিক ভাবে সেবাটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে চালু করলেও বর্তমানে ৪০টি দেশের ৩০০টি শহরে এই সেবা পাওয়া যায়। গুগল স্ট্রিট ভিউ এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে অনলাইনে যেকোন স্থানের প্যানারমিক ছবি দেখা যায়। প্যানারমিক ছবির মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি অর্থাৎ চারপাশের দৃশ্য ঘুরে দেখা যায়।
প্রথমদিকে স্থানীয় নিরাপত্তা আর ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাতের আশঙ্কায় এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। তবে গুগল নিশ্চয়তা দেয়ার পর ব্যপারটির মীমাংসা হয়। এরপর দ্রুত এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। গুগলের স্ট্রিট ভিউর ক্রমবর্ধমান তালিকায় যুক্ত হল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে গুগল স্ট্রিট ভিউ চালু হলে আমাদের সুবিধা কি হবে? গণহারে সুবিধা না হলেও কয়েকটি দিকে প্রাথমিক ভাবে লাভ হবে। দেশের পরিচিতি হবে, তাতে পর্যটক আসবে। পর্যটকেরা গুগল স্ট্রিট ভিউ’র মাধ্যমে গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা ও পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে ধারণা পাবে। এতে তাদের কস্ট লাঘব হবে। এছাড়া দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে এতে।
বিশ্বায়নের এবং তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে, তবে ক্রমাগত এগোচ্ছে। গুগল স্ট্রিট ভিউতে যুক্ত হওয়ায় আরেকটু এগিয়ে গেল বলা যায়।