দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতালির একটি ছোট্ট দ্বীপ গায়োলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সৃষ্টি এই দ্বীপ। এটিকে দেখে মনে হবে যেন একটি ছোট স্বর্গ। তবে এই দ্বীপটি নাকি অভিশপ্ত। চলুন জেনে নিই, কেন গায়োলাকে অভিশপ্ত বলা হয়।
কথিত আছে, দ্বীপের স্বত্বাধিকারীদের যুগ যুগ ধরে দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। ইতিহাস ঘাঁটলে এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। ১৯২০ সালে গায়োলার মালিক ছিল সুইজারল্যান্ডের হেন্স ব্রাউন। সে তখন দ্বীপে বসবাস করতো। কয়েক বছর পর তাকে মৃত পাওয়া যায়। এখানেই শেষ নয়। ব্রাউন মারা যাওয়ার কয়েক মাস পর তার স্ত্রী পানিতে ডুবে মারা যায়। লোককাহিনীর নাকি এখান থেকেই শুরু। এরপর আরো বহু কাহিনী ঘটেছে এই দ্বীপকে ঘিরে।
পরবর্তি মালিক হল জার্মান ওট্টো গ্রুনব্যাক। তিনি দ্বীপের বাড়িতে থাকা অবস্থায় হার্ট এটাক করে মারা যান। একই ভাগ্য বরণ করে মরিস-ইভস সান্দোজ। তিনি সুইজারল্যান্ডের একটি মানসিক হাসপাতালে আত্মহনন করেন।
এর পরের মালিক জার্মানির স্টিল শিল্পপতি ব্যারন কার্ল পল ল্যাংহেইম। বেপরোয়া জীবন যাপনের জন্য তাকে প্রচণ্ড আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
গিয়ানি আগনেল্লিও দ্বীপের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তাকে অসংখ্য আত্মীয় স্বজনের মৃত্যু সহ্য করতে হয়েছে। এরপরের মালিক পল গেট্টি যার নাতিকে কিডন্যাপ করা হয়েছিলো। এবং শেষে তিনি এই দ্বীপ বিক্রি করে দেন।
দ্বীপটির শেষ মালিক গিয়ানপাস্কুয়েল গ্রাপ্পনে। ২০০৯ সালে তাকে খুনের দায়ে জেলে যেতে হয়, বাকি জীবন জেলেই কাটে তার।
এইভাবে ধারাবাহিক দুর্ভাগ্য কোন এক আশনি ইঙ্গিতই দেয়। হয়তো গায়োনা আসলেই অভিশপ্ত। কিন্তু এতকিছুর পরেও হাজার হাজার পর্যটক প্রতিনিয়ত ছুটে যায় দ্বীপটিতে। এর প্রাকৃতিক নৈসর্গ যেন সবাইকে যাওয়ার জন্য হাতছানি দেয়।
সূত্রঃ Onesarcasticbroad