দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক কর্মরত। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করে। সম্প্রতি একটি কোম্পানি ক্রমাগত বেতন ভাতা না দেয়ায় শতাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে মুসা সানাইয়া দারুল বেদায় রাফি কোম্পানি সাত/আট মাস যাবত তাদের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করছে না। এতে বিপদে পড়েছে বিভিন্ন দেশের ২৫০-২৬০ জন শ্রমিক যার মধ্যে ১২০ জন বাংলাদেশি। তারা সবাই সৌদি আরবের আল-খাফজি, আল-ফালাহ, সুলাইসসহ বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ শ্রমিক ছিল।
উক্ত কোম্পানির মালিক কয়েক বছর আগে মারা গেলে তার ছেলে আব্দুর রহমান মরজুক দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত দুই বছর ধরে সে ইকামা বানিয়ে দিচ্ছে না। উপরন্তু সাত/আট মাস বেতনও দিচ্ছে না। কাজে ব্যবহৃত গাড়িও দেখা যাচ্ছে না। চূড়ান্ত অসহায় অবস্থায় শ্রমিকেরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গেলে সেখানে কাওকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবস্থা খুবই খারাপ। থাকার জায়গা নেই, খাওয়া নেই। রাস্তাঘাটে যে যেভাবে পারছে দিন কাটাচ্ছে। যে দেশে খাওয়ার অভাব নেই সেখানে তাদের থাকতে হচ্ছে অভুক্ত। ইকামা না থাকায় তারা নতুন কাজের সন্ধান করতে পারছে না, বিচার চাইতেও যেতে পারছে না।
বিপদ্গ্রস্থ এক শ্রমিকের নিকটাত্মীয় কবির হোসেন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। তিনি নিজ কাজকর্ম ফেলে রেখে শ্রমিকদের বিপদ থেকে উত্তরণে চেষ্টা করেন। তিনি শ্রমিকদের নিয়ে যান বাংলাদেশ দূতাবাসে। কিন্তু সবসময়ের মত দূতাবাসের কিছু করার নেই। সেখানকার কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, শ্রমিকদের শ্রম আদালতে মামলা করতে বলেন যাদের কিনা ইকামা নেই। শ্রমিকেরা বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করলে তিনি বলেন, তাদের কিছু করার নেই। পুলিশে ধরলে দেশে চলে যেতে হবে।
এই অবস্থায় শ্রমিকেরা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাদের কোথাও যাওয়ার নেই। সরকার দূতাবাসকে চাপ দিলে তারা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে আশা করছে তারা।