দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দেওবন্দ-ভিত্তিক সুন্নি মুসলিমদের শত বছরের পুরনো ইসলাম প্রচারের সংগঠন তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর সতর্কতা জারি করেছে সৌদি আরব।
যার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় এই সংগঠন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার নির্দেশও দিয়েছেন দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ডা. আবদুল লতিফ আল শায়খ।
গত সোমবার এক টুইট বার্তায় জানানো হয়, সৌদি আরবে তাবলিগ এবং ‘দাওয়াহ’ গ্রুপ অর্থাৎ ধর্মপ্রচারের পক্ষপাতমূলক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হয়।
তাবলিগ জামাত ১৯২৬ সালে মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি কর্তৃক ভারতের মেওয়াতে দেওবন্দি আন্দোলনের একটি শাখা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে ইসলামের নির্দেশনা পালনের উৎসাহ দেওয়াই এই সংগঠনটির প্রধান এবং মৌলিক কাজ বলে মনে করেন এই সংগঠনের নেতারা। সে কারণে বিভিন্ন দেশের তাবলিগ জামাত-সমর্থকরা সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন।
ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিবেচনা করে অনেক আগে থেকেই সৌদি আরবে প্রকাশ্যে তাবলিগের কোনো রকম কার্যক্রম ছিল না। ২০১৬ সালে সৌদি আরবের তৎকালীন গ্র্যান্ড মুফতি আবদ-আল-আজিজ ইবনে বাজ তাবলিগ জামায়াতের বিরুদ্ধে একটি ফতোয়াও জারি করেন। তাদের অভিযোগ, ‘ফাজায়েলে আমল’ই হলো তাদের মূল গ্রন্থ। কোরআন এবং সহি হাদিসের গ্রন্থের চেয়েও তাবলিগিরা এই গ্রন্থটিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, আরও কিছু দেশেও সৌদি আরবকে অনুসরণ করে তাবলিগকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
এদিকে ভারতের দেওবন্দি আলেম শায়খ সালমান হুসাইনি নদভি এই বিষয়ে সৌদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান সৌদি সরকার যে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এজেন্ট হয়ে মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, এমন একটি নির্দেশনায় সেটি আরও স্পষ্ট হলো। তবে এই বিষয়ে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি!
এদিকে বাংলাদেশের আলেম মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি বলেন, সৌদি সরকার শতবর্ষী একটি দিনি আন্দোলনকে এভাবে একতরফা নিন্দা এবং নিরুৎসাহিত করতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মাদ রাবে হাসানি নদভি, মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি, মাওলানা মুফতি তাকি উসমানিসহ বিশ্বের সেরা সেরা আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।