দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথিতযশা সাংবাদিক এবিএম মুসার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজসহ সর্বমহলে শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। গতকাল বুধবার বাদ মাগরিব রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবীণ এই সাংবাদিক গতকাল বুধবার দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মুত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সকল সাংবাদিক মহল এবং সর্বমহলে এক শোকের ছায়া নেমে আসে। লাইফ সাপোর্টে রাখা সাংবাদিক এবিএম মূসাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর তাঁকে নিজ বাসভবন মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে আনা হয়।
গতকাল প্রথম নামাজে জানাযা শেষে তাঁর লাশ বারডেমের হিম ঘরে রাখা হয়। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১২টায় এবিএম মূসার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। জাতীয় প্রেসক্লাবে বাদ জোহর তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী ফেনীর ফুলগাজী উপজেলাধীন কুতুবপুর গ্রামে তার মায়ের কবরের পাশে তাঁকে শায়িত করা হবে। প্রেসক্লাবের তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষ হলে প্রবীণ এ সাংবাদিকের মরদেহবাহী গাড়ি ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এবং ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
প্রথম সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন এবিএম মুসা
বাংলাদেশের প্রথম সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন প্রবীণ এই সাংবাদিক। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে তার আপন বৈশিষ্ট্যে সব সময় সরব থাকতেন।
বিটিভি’র প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন এবিএম মূসা
সাংবাদিকতার কিংবদন্তি এবিএম মূসা বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জাতীয় গণমাধ্যম ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ পুনর্গঠনের দায়িত্ব বর্তায় কীর্তিমান এই সাংবাদিকের ওপর। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।