দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রায় ২৮ দিন যাবৎ বন্ধি আছেন বাংলাদেশের ২৫ তরুণ। তাদের দালাল চক্র ইরান নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কাশ্মীরে অন্ধকার ঘরে পণবন্ধি করে রেখেছে।
আজ থেকে ২৮ দিন আগে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের ২৫ জন শ্রমিক সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম বনগাঁও গ্রামের জাদু মিয়াঁ নামক দালালের মাধ্যমে ভারত হয়ে ইরান যাওয়ার জন্য যাত্রা করে। তবে জাদু মিয়াঁ ও পাচারকারী সিন্ডিকেট মিলে ভারতের কাশ্মীর এলাকার অজ্ঞাত স্থানে একটি অন্ধকার ঘরে তাদের আটক করে রেখেছে। পাচার হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের একজন বাংলাবাজার ইউনিয়নের বড়খাল গ্রামের যুবক আলমগীর হোসেন তিন দিন আগে নিজ পরিবারকে ফোন করে তাকে উদ্ধার করতে বলে।
আলমগীর হোসেন জানায়, তাকে এবং আরও ২৪ জনকে এক সাথে একটি অন্ধকার ঘরে আটক করে রেখেছে। নগদ অর্থ না দিলে তাদের মুক্তি দেবেনা পাচারকারীরা। আলমগীর তার পরিবারকে জানায় তাকে মুক্ত করতে হলে বনগাঁও গ্রামের আবু তাহেরের কাছে টাকা দিতে হবে। তবেই সে মুক্ত হতে পারবে। আলমগীরকে মুক্ত করতে তার আত্মীয় শামীম পাশা রিজেন টাকা নিয়ে আবু তাহেরের বাড়িতে গিয়ে তার হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেন। এসময় আরো ২৫ হাজার টাকা না দিলে আলমগীরকে ছাড়ানো যাবে না বলে আবু তাহের তাদের জানায়।
ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে আলমগীর হোসেনের আত্মীয় স্বজন বনগাঁও সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যদের জানালে বিজিবি আবু তাহেরকে আটক করে। পরবর্তীতে আবু তাহেরের মাধ্যমে বিজিবি কৌশলে কাশ্মীরে পাচারকারীদের সাথে কথা বলে। ইতোমধ্যে বিজিবি জানিয়েছে আটক আবু তাহেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং পাচার হয়ে যাওয়া ঐ ২৫ বাংলাদেশির মুক্তির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।