দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের চট্রগ্রামে বেশ কিছু সৈকত রয়েছে তবে সব কয়টি সৈকত সবার চেনা জানার মাঝে নেই। ঠিক সেরকম একটি সৈকতের নাম কাট্টলি সমুদ্র সৈকত। আজ আমরা কাট্টলি সৈকতের বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।
বাংলাদেশের সৈকত বললেই প্রথমে সকলের চোখের সামনে ভেসে উঠে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, পতেঙ্গা কিংবা কুয়াকাটার কথা। তবে কাট্টলি নামে আরও একটি সৈকত রয়েছে ঠিক চট্রগ্রাম শহরের ভেতরেই। চট্রগ্রাম এর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে এই সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত। অনেকের কাছেই সৈকতটি অজানা। তবে চট্টগ্রামবাসী কেউ কেউ এর খবর জানলেও বাহিরের পর্যটকরা এর খবর খুব একটা জানেন না।
পাহাড়তলী থেকে মাত্র ১০ মিনিটের পথ কাট্টলি সৈকত। মূলত পাহাড়তলীতে অবস্থিত চট্রগ্রামের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশেই এই সৈকত অবস্থিত। একে অনেকেই সাগরিকা সৈকত বলে থাকেন। এর স্থানীয় নাম জেলেপাড়া সমুদ্র সৈকত। মূলত এখানে জেলারা মাছ ধরতে সাগরে যাওয়া আসার রুট হিসেবে ব্যবহার করে। তা ছাড়া এখানেই গড়ে উঠেছে চট্রগ্রাম এর সব চেয়ে বড় জেলে পাড়া। আপনি এখানে একই সাথে সৈকত এবং জেলেদের গ্রাম্য পরিবেশ উভই উপভোগ করতে পারবেন।
চট্রগ্রামের পাহাড়তলী থানা থেকে খুব সহজেই যে কোনও যানবাহন দিয়েই আপনি কাট্টলি সৈকতে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি দুটি রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন। একটি হচ্ছে চট্রগ্রাম হাই ওয়ে ধরে পোর্টকানেক্টিং রোড অন্যটি সাগরিকা স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে সোজা সৈকতের পাড়ে।
চট্রগ্রাম শহরের একদম ভেতরে হওয়াতে এখানে থাকা খাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা। শহরের ভেতরে রয়েছে অসংখ্য আন্তর্জাতিক মানের হটেল-রিসোর্ট। আপনি যদি চট্রগ্রাম এর বাইরে থাকে আসেন তবে নিচের হোটেল সমূহে বুকিং দিয়ে সহজেই এসে ঘুরে যেতে পারেন অজানা এই সৈকতের তীর থেকে।
চট্রগ্রাম এর হোটেল সমূহের যোগাযোগের নম্বরঃ
- শহরের আগ্রাবাদ এলাকায় হোটেল আগ্রাবাদ (০৩১-৭১৩৩১১-৮),
- হোটেল পেনিনসুলা (০৩১-৬১৬৭২২, ৬১৯৮৫০)
- স্টেশন রোডে হোটেল এশিয়ান (০৩১-২৮৫০৩৪৬-৮, ৮০০-২০০০ টাকায় কক্ষ আছে)
- স্টেশন রোডে হোটেল সুপার (০৩১-৮৪১৪৫১-২, ৬০০-১৫০০ টাকায় কক্ষ আছে)
- খুলশী এলাকায় হোটেল লর্ডস (০৩১-২৫৫২৬৭১-৪)
- পাঁচলাইশ এলাকায় রওশন বোর্ডিং (০৩১-৬৫১৪১৬)
- জুবিলী রোডে হোটেল টাওয়ার ইন (০৩১-৮৪২৬৯১-২)