দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আদিম যুগে প্রাণীরা এখনকার মত ছিল না। কালের সাথে বিবর্তন হয়। পরিবেশের প্রতিকূলতায় টিকে থাকতে অনেকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে প্রাণীকুল। তবে অনেক প্রজাতি তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পাখির বিভিন্ন প্রজাতির মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশি বিবর্তনমূলক স্বতন্ত্র পাখির তালিকা তৈরি করে। এটি পাখির অনেক প্রজাতির বিলুপ্তি রোধে ব্যাপক কাজে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবর্তনমূলক স্বতন্ত্র পাখিদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাজাতিগুলোই আছে এতে। বর্তমানে এগুলো সংখ্যায় খুব কম। অতীত ইতিহাস থেকেও দেখা যায় বিবর্তনমূলক স্বতন্ত্র প্রজাতিগুলোরই বিলুপ্তি ঘটেছে।
কানাডার সাইমন ফ্রেসার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বৈচিত্র্য বিভাগের অধ্যাপক আর্নে মোর্স এবং তার দল গত সাত বছর ধরে পাখির বিভিন্ন প্রাজাতির বিবর্তনের ইতিহাস জানার জন্য গবেষণা করে আসছেন। এজন্য তারা পাখির জানা ৯৯৯৩টি প্রজাতি নিয়ে গবেষণা করে একটি বিবর্তনীয় ছক তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু কাজটি খুবই কঠিন হয় কেননা এই ক্ষেত্রে আগে কেউ কাজ করেনি। নির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকায় তাদেরকে সব কিছু নতুন ভাবেই করতে হয়। দীর্ঘ সময় গবেষণা করে তারা একটি বিবর্তনীয় ছক দাঁড় করাতে স্বক্ষম হন। তাদের এই বিবর্তনীয় ছকে ঠাই পায় গত ৭৭ বিলিওন বছরের প্রজাতিগুলো।
অধ্যাপক আর্নে মোর্স ও তার দলের তৈরি এই তালিকায় উপরের দিকে যায়গা দেওয়া হয় সেইসব প্রজাতিকে যারা অনেক আগে থেকে বিদ্যমান ছিল এবং বর্তমান পাখির প্রজাতির সাথে সবচেয়ে বেশি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এ অনুযায়ী অয়েল বার্ড সবচেয়ে বেশি বিবর্তনমূলক স্বতন্ত্র। মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার এই প্রজাতিটি ৮০ মিলিওন বছর ধরে একই রকম আছে।
বিবর্তনমূলক স্বতন্ত্র পাখিদের তালিকার মধ্যে থাকা পাখিগুলো দেখুনঃ
বিবর্তনমূলক স্বতন্ত্র পাখিদের তালিকা ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি থেকে বিলুপ্ত পাখিদের রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র ঠিক রাখতে হলে বিলুপ্ত পাখিদের রক্ষা করা অতীব জরুরি। বিশ্বব্যাপী এই প্রজাতিগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে সচেতনতা তৈরি করলে আপামর জনসাধারণ এদেরকে রক্ষা করতে ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
সূত্রঃ popsci