দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বড়ই করুণ এক পরিণতি। মৃত্যু মানুষের জন্য অবধারিত। কিন্তু সেই মৃত্যু কার কিভাবে হবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তায় বলতে পারেন। সেন্টমার্টিনের ঘটনাও জগত সংসারের আরেক ট্রাজেডি। অভিযান সমাপ্ত হয়েছে গতকাল রবিবার। কিন্তু নিখোঁজ উদয় ও সাব্বিরের লাশও পেলো না তাদের পরিবারবর্গ।
সেন্টমার্টিনের ওই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজদের খোঁজে অভিযান শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারীরা। নিখোঁজ ৪ জনের মধ্যে তারা দুজনের লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু বাকি দুজন ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উদয় ও সাব্বিরের লাশ তারা উদ্ধার করতে পারেনি। উদয় ও সাব্বিরের সন্ধানে উদ্ধারকারীরা সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার এমনকি কুতুবদিয়া উপকূলেও ব্যাপক তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাদের কোনো হদিস করতে পারেনি তারা।
এমন এক কঠিন বাস্তব পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার কোস্টগার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে। কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার হারুন উর রশীদ এই ঘোষণা দেন।
উদয় ও সাব্বিরের পরিবারবর্গ এই ক’দিন অন্তত সন্তানের লাশের আশায় বুখ বেধেছিলেন, সে আশাও তাদের পূরণ হলো না। বড়ই এক করুণ কাহিনীর সূত্রপাত ঘটেছে সেন্টমার্টিন ট্রাজেডির।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ৩৪ ছাত্র কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে যায়। তারা দল বেঁধে সাগরে নামে। কিন্ত এক যোয়ারে ভেসে যায় ১০ ছাত্র। তাৎক্ষণাত ৬ জনকে উদ্ধার করলে ২ জনের মৃত্যু ঘটে। পরে কোস্টগার্ড আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার করে। বাঁকি ২ জন আজীবনের জন্য নিখোঁজ রয়ে গেলো।