দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। দেশজুড়ে যেনো এক হাহাকার পড়ে গেছে। দিনে-রাতে একই অবস্থা। এমন এক পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর আবারও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, পুরো মে মাস জু্ড়েই চলবে এমন তাপদাহ। আবার এ মাসে আরও কয়েকটি ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতের কথা বলা হলেও তাতে তাপদাহ খুব একটা কমবে না বলেই মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে গত কযেকদিনের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাপদাহের কারণে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় মহাখালী আইসিসিআরডিবিতে গত দুদিনে ভর্তি হয়েছে বহু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি। এদের বেশির ভাগই শিশু। প্রচণ্ড গরমের কারণে পানিশূন্যতা ও পানিবাহিত রোগ-জীবাণুর কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ’ রোগি ভর্তি হচ্ছে এখানে।
এদিকে দেশের তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। এবছর রাজধানীর তাপমাত্রাও রেকর্ড হয়েছে বহুবছর পর। রাজধানীতে এবার ৩৯ ডিগ্রীতে উঠেছে তাপমাত্রা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একই অবস্থা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সারাদেশে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে- ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিনে দেশের কোথাও বৃষ্টির খবর নেই। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ দেশবাসী। কবে বৃষ্টি হবে আবার তাপমাত্রা স্বাভাবিক হবে সে আশায় দিন গুণছে সকলে।
চিকিৎসকরা এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করার কথা বলেছেন। যাদের বিশুদ্ধ পানির সমস্যা রয়েছে তারা পানি বেশি সময় ধরে ফুটিয়ে পান করার কথা বলা হয়েছে। আর গুড়/চিনি সাথে একটু লবণ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রখর রোদে না গিয়ে প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।