দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্বালানি থেকে রাসায়নিক অথবা তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করাই ইঞ্জিনের কাজ। যানবাহন থেকে শুরু করে কলকারখানা সবক্ষেত্রেই ইঞ্জিনের ব্যবহার আছে। তাই বিভিন্ন ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে জ্বালানি ছাড়াই ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন এক বিজ্ঞানী। এই ইঞ্জিনকে বলা হয় কাইনেম্যাটিক ইঞ্জিন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বর্ণা সারের উদ্ভাবক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আব্দুল খালেক এই ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন পড়ে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে পিএইচডি করেন ইমিউনোএনজাইমোলজি এর ওপর। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কাইনেম্যাটিক ইঞ্জিনের যন্ত্রকৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি।
বল বৃদ্ধির নীতি ব্যবহার করে কিছু যন্ত্র যেমন হাইড্রলিক প্রেস, লিভার, ফালক্রাম প্রভৃতি প্রযুক্ত বলকে অনেকগুণ বর্ধিত করে। লব্দ বল এবং প্রযুক্ত বলের অনুপাতকে যান্ত্রিক সুবিধা বলে। যে যন্ত্রের যান্ত্রিক সুবিধা যত বেশি তার কর্মদক্ষতাও তত বেশি। বল বৃদ্ধিকরণের এই নীতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে কাইনেম্যাটিক ইঞ্জিন। এটি প্রাপ্ত বলকে যান্ত্রিক উপায়ে বৃদ্ধি করবে। কোন রকম বাড়তি জ্বালানি লাগবে না। অর্থাৎ কোন প্রকার তাপশক্তি ব্যবহার না করেই এর কর্মদক্ষতা বাড়বে।
ইঞ্জিন মূলত তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। যান্ত্রিক শক্তির প্রধান বাধা হল ঘর্ষন, বাতাসের বাধার মত বিভিন্ন প্রতিরোধক বাধা। এই বাধাকে অতিক্রম করার জন্য কাইনেম্যাটিক ইঞ্জিনে বল বৃদ্ধিকরণের কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে কম জ্বালানি দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি কাজ করবে এটি।
জ্বালানি ব্যবহার না বাড়ায় এটি কার্বন নিঃসরণ করবে কম। তাই এই ইঞ্জিনকে পরিবেশ বান্ধব ইঞ্জিন বলা যায়। বৃহৎ আকারে এই ইঞ্জিন চালু হলে বাংলাদেশ ও আরও দরিদ্র দেশের জন্য খুবি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।