দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুকে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লার হোমনার বাকসীতারামপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৫টি বাড়িঘর ও একটি মন্দির ভাঙচুর করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
(ফাইল ছবি)
রবিবার দুপুর ২টায় ফেসবুকে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়। কুমিল্লার হোমনার বাকসীতারামপুরের স্থানীয় মাদ্রাসার কিছু চাত্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছে। ভাঙচুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়ে, আতঙ্কে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় সুত্র এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলে হয়েছে, হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের বাকসীতারামপুরের পার্শ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার বাঁশকাইট্টা এলাকার কিছু লোক শনিবার মাগরিবের নামাজের পর বাকসীতারামপুরের চান মোহন দাসের ছেলে উদ্ভব চন্দ্র দাস ও অনিল দাসের ছেলে ছিনিবাস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে মিছিল করে। বিষয়টি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে দেখে স্থানীয়রা রাতেই বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা করে। বৈঠকে মীমাংসা না হওয়ায় রবিবার দুপুর ২টার দিকে আবার বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠক চলা কালেই হঠাৎ করে মুরাদনগরের বাঁশকাইট্টা ও আশপাশের বিক্ষুব্ধ লোকজন এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বাকসীতারামপুরের হিন্দুদের ৩৫টি ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ডাক্তার বাড়ির রাধাকৃষ্ণ সমাধি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে বলে জানা গেছে।
হোমনা থানার ওসি আসলাম শিকদার বলেন, “পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোকজন এবং পাঁচটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এ হামলা চালিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাকসীতারামপুরে তিন প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
কুমিল্লার পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি, প্রাথমিক ভাবে আমরা ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কোনো কটূক্তির প্রমাণ পাইনি, তবে এটি পরিকল্পিত ভাবে গুজব ছাড়ানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, দেশে রামু, সহ বেশ কিছু অঞ্চলে সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।
সুত্রঃ ডেইলি স্টার, কালের কন্ঠ,