দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৯১ সালো হারিয়ে যাওয়া ফুলবানু ২১ বছর পর আবার ফিরে এসেছে। হাতিয়া উপজেলার কালিরদেইল থেকে ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় ফুলবানু। দীর্ঘদিন পর ফিরে আসায় অত্র এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই নারীকে দেখতে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একই পরিবারের স্বামী নাছির উদ্দিন, দুই সন্তানসহ বৃদ্ধা ফুলবানু বেগম (৬০) হারিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে অনেক লোক মারা যাওয়ায় তাদেরও সলিল সমাধি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এরই মধ্যে বৃদ্ধার অন্য সন্তানরা কালিরদেইল থেকে সরে গিয়ে জোড়খালী গ্রামে বসবাস শুরু করে।
এদিকে ৩১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বৃদ্ধা ফুলবানু খোঁজ নিতে নিতে তার আগের বাড়ি কালিরদেইলে গিয়ে সন্তানদের খোঁজ খবর নিতে থাকে। চেহারা পরিবর্তন হওয়ায় কেও তাকে চিনতে পারেনি। পরে বৃদ্ধার বয়সী তার স্বামীর বোন (ননদ) এসে তাকে শনাক্ত করে। এরই মধ্যে বৃদ্ধার অন্য সন্তানরা এসে তাকে বর্তমান বাড়ি জোড়খালীতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজন ছাড়াও প্রতিদিন হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু লোক তার বাড়িতে ভিড় করছে।
কোথায় ছিল, কীভাবে এলো, হারালো কীভাবে, কে নিয়ে এলো, এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে বৃদ্ধার ছেলেরা এখন অনেকটা হাফিয়ে উঠেছেন। বৃদ্ধা ফুলবানু কোনো প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে না পারলেও ছেলে-সন্তানদের পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন। বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজনরা জানায়, মাঝে-মধ্যে দু-একটি কথা বলার মধ্য দিয়ে বুঝা যায় বঙ্গোপসাগরের কোনো এক দ্বীপে গহিন জঙ্গলে লতা পাতা খেয়ে বেঁচে ছিলেন ফুলবানু। এক সময় জেলেরা দেখতে পেয়ে তাকে নিঝুমদ্বীপে এনে তীরে নামিয়ে দেন। সেখান থেকে দীর্ঘদিন খোঁজ নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন।
আর এভাবেই ঘটলো একটি পরিবারের আপনজনদের সঙ্গে পুনর্মিলন।