দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডার নিয়ে রহস্যের জট এখনও খোলেনি। প্রধান আসামী ও তার ভাইয়ের গাড়ি জব্দ ও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নজরুলের অপহরণ দেখে ফেলায় প্রাণ দিতে হয় চন্দন সরকারকে এমন মন্তব্য করেছেন চন্দন সরকারের স্বজনরা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সেভেন মার্ডারের মোটিভ এখনও রহস্যাবৃত থাকলেও এই হত্যাকাণ্ডে শুধু নজরুলই খুনিদের টার্গেট ছিল বলে অনেকেই মনে করছেন। একজনকে টার্গেট করতে গিয়ে সঙ্গে আর সবাই বলি হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আইনজীবি চন্দন সরকারও এমন এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নারায়নগঞ্জের প্রবীণ আইনজীবি চন্দন সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংবাদ কর্মীদের এ বিষয়ে আলাপকালে তারা এমন কথা জানান। খবর দৈনিক ইত্তেফাকের।
নিহত আইনজীবি চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় ওই সংবাদ মাধ্যমেকে বলেছেন, ‘তাঁর শ্বশুর চন্দন সরকার ছিলেন সাহিত্য প্রেমিক। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার জন্য তিনি ঝালকুড়ির বৃষ্টিধারা এলাকায় ছায়াঘেরা পরিবেশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতেন। তাঁর কোন শত্রু নেই। তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। কারো সঙ্গে উচ্চস্বরে কখনও কথা পর্যন্ত বলতেন না। ঘটনার দিন কোর্ট হতে তিনি বের হন দেড়টার দিকে।’
চন্দন সরকারের জামাতা আরও বলেন, ‘আগের প্রাইভেট কার ছিল আমার শ্বশুর চন্দন সরকারের ও পেছনে ছিল নজরুল ইসলামের গাড়ি। আমার শ্বশুর গাড়ি বের না হলে নজরুলের গাড়ি যেতে পারছিল না। আর সে কারণে তিনি তাড়াহুড়া করে কোর্ট থেকে ভাতিজা অ্যাডভোকেট পান্নার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। এমন অবস্থায় আগে চন্দন সরকারের গাড়ি ও পেছনে নজরুলের গাড়ি লিংক রোড দিয়ে একই সঙ্গে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছানোর পর অপহরণকারীরা গাড়ি থামায়। ওই সময় অপহরণকারীদের মধ্যে কাওকে হয়তো তিনি চিনে ফেলেন। এ কারণে খুনিরা আইনজীবি চন্দন সরকার এবং তার গাড়ির চালককে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।’
নারায়নগঞ্জের ৭ ব্যক্তি অপহরণ ও খুনের ঘটনা যেভাবেই ঘটে থাকুক না কেনো। প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে খুনিদের শান্তি দেওয়া জরুরি। তা নাহলে একের পর এক এমন ঘটনা সমাজে ঘটতেই থাকবে।