দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র্যাবের আইনী অভিযানের ক্ষেত্রে ক্ষমতা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। র্যাব এখন থেকে কোন এলাকায় আইনী অভিযানে গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানাকে অবহিত করতে হবে।
গত সোমবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে নীতিগত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এই কমিটির বৈঠকে বলা হয়, র্যাবের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ এবং র্যাবকে সংশ্লিষ্ট করে নানা ধরনের আইনগত বিশৃঙ্খলা ঘটায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটির বৈঠক থেকে আরো জানা যায়, র্যাব এখন থেকে কোন এলাকায় অভিযানে গেলে আগে থেকে সেই এলাকার থানাকে অবহিত করতে হবে। এছাড়াও র্যাব পূর্বে যেমন সাদা পোশাকে অভিযান পরিচালনা করতে পারতো এখন থেকে সেটি আর করতে পারবে না। বৈঠকের সভাপতি আমির হোসেন আমু নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যেই জড়িত থাকুন না কেন তাকে খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করা হবে। র্যাবের এই আলোচিত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে সভাপতি আরো বলেন, র্যাব যদি এর সাথে জড়িত থাকে তবে র্যাবেরও আইনগত বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে র্যাবের প্রধানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সারাদেশে ইয়াবা মাদকের প্রসার বৃদ্ধি প্রসঙ্গটি উঠে আসে। ফলে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে ইয়াবাসহ সকল ধরনের মাদক নিয়ন্ত্রণে রেড এলার্ট জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সীমান্তে মাদক আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে জোরালো নজরদারি চালু করার কথা বলা হয়। এছাড়াও বিএসএফ এবং বিজিবি যৌথভাবে সীমান্তে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে কাজ করবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।