দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বা ইংরেজিতে Unidentified Flying Object (UFO) সম্পর্কে পৃথিবীবাসীর তেমন কোনও ধারণা নেই। বিভিন্ন সময় এসব (UFO) অনেকেই আকাশে দেখেছেন যার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া বিজ্ঞানের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আজ আমরা জানবো Unidentified Flying Object (UFO) সম্পর্কে এবং দেখবো এখন পর্যন্ত পৃথিবীর আকাশে দেখা যাওয়া আলোচিত UFO গুলো।
পৃথিবীর বাইরে সৌরজগৎ কিংবা মহাবিশ্বে অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে-কি-নেই তার সঠিক উত্তর এখনো আমরা পৃথিবীবাসী জানিনা। আসলেই কি পৃথিবীর সীমার বাইরে কোন জীবন বা মানব সভ্যতার থেকে আরো আধুনিক বুদ্ধি’র কোন প্রাণী আছে? মানুষ হাজার হাজার বছর চেষ্টা করেছে কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। হয়তো আরও হাজার বছর লাগবে। অথবা এই রহস্য কোনদিনও ভেদ হবেনা।
পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণী আছে-কি-না এই রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে যে বস্তু তার নাম ইউ.এফ.ও (U.f.o)। পৃথিবীর আকাশে মাঝে মাঝেই দেখতে পাওয়া উড়ন্ত এই অদ্ভুত বস্তু এর ব্যাখাও মানুষের কাছে রয়েগেছে অধরা। এসব বস্তু অনেকের মতেই মহাজাগতিক কোন প্রাণীদের পৃথিবীতে আগমনের বাহন।
আরও জানুনঃ সৌরজগতের বাইরে খুঁজে পাওয়া গেল এলিয়েন মুন!
ইউ.এফ.ও দর্শনের কমপক্ষে হাজারখানেক, বা তারও বেশি দাবী বিষয়টিকে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত করে গেছে দিনের পর দিন। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং ওই এলাকায় পরবর্তীতে ইউ.এফ.ও (U.f.o) দেখা যাওয়ার ঘটনা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেয়। পৃথিবীর ইতহাসের অনেক বিমান নিখোঁজ হওয়া, জাহাজ হারিয়ে যাওয়াকেও অনেকে ইউ.এফ.ও (U.f.o) এর সাথে সম্পর্কিত বলেই মনে করেন।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে দেখতে পাওয়া ইউ.এফ.ও (U.f.o) সমূহের বিষয়ে।
Warden Sighting, দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০০ সাল)
২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কিছু মানুষ দাবি করেন তারা আকাশে একটি অদ্ভুত বস্তু দেখেছেন যা কিনা কমলা রঙ এর আলো বিচ্ছুরণ করছিলো এবং নিমিষেই আকাশে হারিয়ে গিয়েছিল।
কোলকাতা Sighting, ভারত (২০০৭ সাল)
২০০৭ সালের দিকে ভারতের কোলকাতায় বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা দাবি করেন তারা রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আকাশে কিছু আলোকিত বস্তু দেখতে পান। এসব বস্তু আকাশে বিচ্ছিন্নভাবে উড়ে বেড়াচ্ছিল এবং রঙ্গিন আলো বিচ্ছুরণ করে যাচ্ছিলো।
Vancouver Sighting, কানাডা (২০১১ সাল)
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কানাডার ভেঙ্কুভর এর বাসিন্দারা আকাশে একটি সবুজ এবং লাল আলো বিচ্ছুরণ করছে এমন আকাশযান দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সেটি কোনও বিমান বা মানুষের তৈরি আকাশযান ছিলোনা।
বৈমানিক William Schnaffner এর হারিয়ে যাওয়া, North Sea (১৯৭০)
১৯৭০ সালে তরুণ বৈমানিক William Schnaffner আকাশে উড়তে উড়তে দেখতে পান তার বিমানের ঠিক পাশ দিয়েই উড়ে যাচ্ছে দ্রুত গতির একটি অস্বাভাবিক আকাশযান, সে সময় তিনি ওই বস্তুকে অনুসরণ করা শুরু করেন এবং এয়ার কন্ট্রোল ইউনিটকে বার্তা পাঠান। পরে বৈমানিক William Schnaffner কে আর কোনো দিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় সেটি ছিলো UFO,
Yeni Kent Compound, তুর্কি ২০০৮ সাল
২০০৮ সালে তুরস্কে দেখতে পাওয়া গেছে সসার আকৃতির এক বিচিত্র আকাশযান। একে প্রায় ৪ মাস ধরে আকাশে দেখা গেছে। সে সময়ে এই ঘটনা এবং ভিডিও সারা বিশ্বব্যপি আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং ধারণা জন্মায় এলিয়েন আসলেই আছে!
শুধু আকাশে-নয় পানিতেও ইউ এফ ও দর্শনের নজির মেলে। আমেরিকার মিয়ামি এর মধ্যেখানে গালফ স্ট্রিমের জলের তলায় বার বার দেখা গেছে সিগার আকৃতির ইউ.এফ.ও। ডেলমনিকো নামের এক ক্যাপ্টেন পানির নিচে এই সাদাটে ধূসর বস্তুটি দেখতে পান। তার দাবী, এটি কোনভাবে পানিতে আলোড়ন তৈরি না করে চলাফেরা করছিল।
এ ছাড়াও আরো অসংখ্যবার পৃথিবীর আকাশে Unidentified Flying Object (UFO) দেখা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনেকের মতে, Unidentified Flying Object (UFO) বলে কিছু নেই আবার অনেকেই মনে করেন এটা আছে। পৃথিবীটা অনেক অদ্ভুত, রহস্য আমাদের পৃথিবী এবং এখানকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত ঘিরে রাখে বলেই তার সৌন্দর্য এতো বেশি। ইউ.এফ.ও কে নিয়ে তাই কিছু রহস্য চিরকাল বেঁচে থাকুক মানুষের মনে। এতো বড় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, তার রহস্যটাও বড় না হলে কি মানায়?
ধন্যবাদ: লিস্ট২৫ | উইকিপিডিয়া