দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক কৃত্রিম জেনেটিক কোড তৈরির জন্য অর্গানিজম তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে। হয়তো এটি খুব বেশিদিন দূরে নয় যখন এই কৃত্রিম অর্গানিজম জেনেটিক উপাদানের বিকল্প হিসেবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জেনেটিক তৈরি করতে পারবে।
গবেষকরা বলছেন, এই বিষয়টি যদি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয় তবে আমাদের পক্ষে অনেক রোগবালাইয়ের সমাধান করা সম্ভব হবে। ডিএনএ হলো ডিঅক্সি রাইবোনিউক্লিক এসিড। এর মধ্যে মানব জীবনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য জেনেটিক কোড আকারে থাকে। এতে রয়েছে অনেকগুলো নিউক্লিওটাইড এই নিউক্লিওটাইডগুলো কতোগুলো উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। এই উপাদানগুলোর নাম অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন এবং সাইটোসিন। এদেরকে প্রকাশ করা হয় A, G, T এবং C দ্বারা। কিন্তু গবেষকরা একটি ব্যাকটেরিয়ার শরীরের ডিএনএতে আরো দুটি নতুন নিউক্লিওটাইড যুক্ত করে দিতে সক্ষম হয়েছেন। নতুন এই নিউক্লিওটাইডের নাম এক্স ও ওয়াই। এর ফলে ডিএনএ এর নিউক্লিওটাইডের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়টি।
গবেষণার এই ফলাফলটি ছিল অনেক বেশি চমকপ্রদ। নতুন এই অর্গানিজমটি বেশ ভালোভাবেই নিউক্লিওটাইডের মধ্যে অবস্থান করতে পারছে এবং নতুন ভাবে উৎপাদন করতে পারছে। নতুন এই গবেষণার ফলাফলটি আমাদের সামনে একটি নতুন দিনের আশার আলো প্রস্ফুটিত করছে যে, জেনেটিক মোডিফিকেশন কিংবা ডিএনএ বন্ধনের পরিবর্তন করা সম্ভব। কিন্তু এর পাশাপাশি এই সম্ভাবনাটি আমাদের সামনে অনেক প্রশ্নও তৈরি করছে যে এর বৈধ এবং ভালো ব্যবহার কতটা নিশ্চিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে বিজ্ঞানীরা জানতেন যে, ডিএনএর পরিবর্তন করা সম্ভব কিন্তু পরীক্ষামূলক ধারণাটি এতোদিন পাওয়া যায়নি। ব্যাকটেরিয়ার শরীরে নতুন নিউক্লিটাইড প্রবেশের পর এর এটি ভালোভাবেই নতুন ধরণের প্রোটিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
সে যাই হোক, এর বাইরে মূল কথাটি হলো নতুন নিউক্লিওটাইডের এই ব্যাকটেরিয়াটি সাধারণ পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারবে না। তাই একে ল্যাবের ভেতর একটি বিশেষ পরিবেশে রাখা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়াটি সেই পরিবেশে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে নতুন ধরণের প্রোটিন তৈরি করতে পারছে বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
তথ্যসূত্রঃ টেকজার্নাল