দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাড়া বাড়লেও রেলের মান বাড়েনি মোটেও। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক মাসে এরকম বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলো। আর এই দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ফেনী দুর্ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় একটি কনটেইনার ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ফলে বুধবার ১৭ অক্টোবর রাত ৩টা থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের সহকারী মাস্টার মইনুল ইসলামের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ নিউজ২৪ বলেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনারবাহী ট্রেনটি কসবার স্টেশনের কাছে পৌঁছালে রাত ৩টার দিকে এর ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।এতে করে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মইনুল ইসলাম আরও জানান, আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগি সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার কাজ শেষে শিগগিরই আবার ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে ভোর থেকে লাইন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথা ও ঢাকামেইল যাত্রপথেই আটকা পড়েছে বলে রেল কর্মকর্তারা জানান। এর আগে বুধবার ভোরে ফেনীতে একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এতে বেশ কয়েকটিন ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়।
এদিকে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় বার বার রেল দুর্ঘটনায় মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হলেও মানের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। মান্ধাতা আমলের ইঞ্জিন ও রেললাইনে চলছে ট্রেন। রেল মন্ত্রণালয়কে রেলের দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুত হওয়ার মতো ঘটনা রোধ করতে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তা না হলে রেলের যাত্রী সংখ্যা আবার কমে যাবে বলে তারা মনে করেন।