দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছুদিন আগে ওকুলাস রিফট নামে একটি অসাধারণ যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে যা ভার্চুয়াল রিয়ালিটির জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তারপরই শোনা যাচ্ছে হাস্যকর একটি আবিষ্কারের কথা। মুরগির জন্যেও নাকি তৈরি করা হয়েছে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেট।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিষয়টি হচ্ছে একটি কৃত্রিম জগত এমনভাবে তৈরি করা হয় যা খুবই বাস্তবসম্মত মনে হয়। অর্থাৎ একটি বাক্সে থেকেও আপনার মনে হতে পারে আপনি কোন বিস্তৃত প্রান্তরে আছেন।
মুরগি জাতির কল্যাণে(!) এই অসাধারণ আবিষ্কার করেছেন লওয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অস্টিন স্টুয়ার্ট। তার মতে, পোল্ট্রির অনেক সমস্যার সমাধান করবে এটি। এই হেডসেট মুরগিকে এমন একটি বিভ্রম দিবে যাতে সে নিজেকে স্বাধীন মনে করবে।
স্টুয়ার্ট মনে করেন, মুরগি এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অন্যভাবে নিতে পারে। মূলত পোল্ট্রিতে মুরগি খুবই শোচনীয় অবস্থায় লালন পালন করা হয়। এছাড়া গৃহপালিত পশু শিল্প এই অবস্থার বাস্তব উন্নতি চায় না। তাই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি সমাধান হতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় মুরগি এই অবস্থায় থেকেই মনে করবে সে সুবিশাল চারণভূমিতে আছে।
বিভিন্ন ব্লগ ও সাইটে মুরগিকে ভার্চুয়াল জগতের সাথে যুক্ত করার ধারণার সমালোচনা করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এই ধরণের ধারণা ঠিক আছে। কিন্তু কেউ যদি বাস্তব ক্ষেত্রে এই ধারণা’র প্রয়োগ করতে চায় তাহলে তা হবে সময় ও অর্থের অপচয়।
মিঃ স্টুয়ার্ট নিঃসন্দেহে দারুণ কাজ করেছেন। কিন্তু মুরগির জন্য প্রযুক্তির এই ব্যবহার না করে মানুষের জন্য কিছু করলেই তার জন্য ভাল হত। এখনও মানুষ মুরগির মত মারা যাচ্ছে। তাই তৃতীয় বিশ্বে একবার ঘুরে যাওয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখা গেল।
সূত্রঃ দিটেকজার্নাল