দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকাল আমাদের দেশের অনেক ব্যবসায়ী পঁচনশীল খাদ্যপণ্যগুলোকে সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষকরে মাছ, ফলমূলে এই রাসায়নিক পদার্থটি বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
রাসায়নিকভাবে ফরমালিন হলো ফরমালডিহাইডের ৪০ শতাংশ জলীয় দ্রবণ। এটি সাধারণত মেডিকেল সায়েন্স এবং বায়োলজি ল্যাবের গবেষণার কাজে প্রাণী কিংবা প্রাণীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফরমালিনের নিকটতম একটি বিষাক্ত এসিড হলো ফরমিক এসিড যা পিঁপড়ার কামড়ে যে চুলকানি অনুভূত হয় তার জন্য দায়ী। ফরমালিনযুক্ত খাবারকে ভালোভাবে না ধুয়ে খেলে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কিভাবে একটি ফরমালিনযুক্ত খাবারকে ফরমালিনমুক্ত করবেনঃ
একটি কথা জেনে রাখা ভালো ফরমালিন পানিতে দ্রবণীয় একটি পদার্থ। তাই সাধারণত বাজার থেকে কিনে আনা ফলমূলকে অবশ্যই ভালভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত। কিন্তু অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যর ক্ষেত্রে যা করতে পারেন-
১. সবজিকে লবণমিশ্রিত কুসুম গরমপানিতে প্রায় ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করুন।
২. বাজার থেকে আনা ফলের ক্ষেত্রে প্রথমে ১ ঘন্টা ব্যাপী পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালভাবে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।
৩. মাছের ক্ষেত্রে লবণপানিতে ভিজিয়ে রাখুন একঘন্টা। এতে ফরমালিন নষ্ট হয়ে যাবে। তবে মাছ মাংসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় এক লিটার পানিতে এককাপ ভিনেগার মিশ্রিত করে একঘন্টা ব্যাপী ডুবিয়ে রাখলে প্রায় ৯৫ শতাংশ ফরমালিন মুক্ত হয়ে যায়। হাতের কাছে ভিনেগার না থাকলে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
৪. শুটকি মাছের ক্ষেত্রে ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর। তবে ভিজিয়ে রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং শুটকিকে ভালোভাবে সিদ্ধ করুন।
ফরমালিনমুক্ত করার এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনার খাবারকে ফরমালিনমুক্ত করুন। এতে করে আপনার খাবারের গুণাগুণ ঠিক থাকবে ফলে আপনি এবং আপনার পরিবার থাকবেন সুস্থ।