দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের ওপর আরো ৩ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সকল বিদেশী কোম্পানির মোবাইল ফোনের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
দশম জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনসেটের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক শতকরা ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। একে দেশের মোবাইল ফোনসেট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিতে এবং নিম্নমানের বিদেশি ফোনসেটের আমদানি নিরুৎসাহিত করতেই সরকারের এ উদ্যোগ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উত্পাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে উত্সাহ দিতেই আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এপ্রিল শেষে দেশে সেলফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটি ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে। গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে হ্যান্ডসেট আমদানিও। ২০০৯-১০ অর্থবছর ১ কোটি ২ লাখ, ২০১০-১১ অর্থবছর ১ কোটি ২৮ লাখ, ২০১১-১২ অর্থবছর ১ কোটি ৫০ লাখ ও ২০১২-১৩ অর্থবছর ১ কোটি ৯৮ লাখ হ্যান্ডসেট আমদানি হয়।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে সিমকার্ড প্রতিস্থাপনে কর নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। নতুন সিমকার্ডের ক্ষেত্রের ৩০০ টাকা কর ধার্য রয়েছে। প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও এনবিআর একই টাকা দাবি করে আসছিল। সিমকার্ড প্রতিস্থাপনের ওপর ১০০ টাকা শুল্ক হারের প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব হিসাবায়নে স্বচ্ছতা আনতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
“বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের সিমকার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা শুল্ক/করধার্য আছে এবং আগামীতেও বহাল থাকবে। প্রতিস্থাপিত সিমকার্ডের ওপর কোনো শুল্ক/কর আরোপিত নেই। ফলে রাজস্ব হিসাবায়নে জটিলতা সৃষ্টি হয়।”
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মোবাইল ফোনসেট আমদানির পরিমাণও বাড়ছে সমান হারে। তবে নতুন করে কর-আরোপ করার ফলে দেশের মোবাইল শিল্পের ঊর্ধ্বগতি অনেকটাই হ্রাস পাবে বলেই মনে করছেন এই শিল্প সংশ্লিষ্টরা, কারণ দেশের বেশিরভাগ মানুষের উচ্চ মূল্য দিয়ে মোবাইল ফোন কেনার সামর্থ্য এখনো হয়নি।