দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আইসিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি।
আজ সোমবার (৩১ মে) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে এই সুপারিশ করা হয়েছে। খবর বিজ্ঞপ্তি’র।
উপকমিটির সদস্য সচিব ও দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সরাসরি মাঠ পর্যায়ে জনগণকে সেবা দিচ্ছেন তাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। তাই তাদেরকে এডভান্সড আইটিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারিভাবে কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।
তাছাড়াও দেশের শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠীকে এডভান্সড আইটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে স্ব স্ব-কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করা যাবে। তাছাড়াও দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে দেশীয় সফটওয়্যার ক্রয়ে ট্যাক্স ছাড় নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং এই সেক্টরের বিকাশমান স্টার্টআপগুলোতে সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
সেজন্য কিছু সুপারিশও উপস্থাপন করা হয়। সুপারিশগুলো গুলো হলো :
১। সরকারি কর্মকর্তা/প্রকৌশলী/গোষ্ঠী/ব্যক্তিশ্রেণীর জন্য আইটি ম্যানেজমেন্ট (বেসিক এবং এডভান্সড), প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, আইটি অডিট, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ই-গভর্নেন্স এবং অটোমেশন ইত্যাদি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির গ্রহণ করা।
২। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী শিক্ষাদানের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা।
৩। সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ও শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মাধ্যমে রোবোটিক্স, ব্লক চেইন, আইওটি, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, ডিপ লার্নিং, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি প্রিন্টিংসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলোর উপরে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
৪। দেশি সফটওয়্যার এবং আইটিইএস সেবা ক্রয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করা ও ট্যাক্স ছাড় নীতিমালা প্রণয়ন। সেইসঙ্গে বিদেশী বিশেষায়িত সফটওয়্যার (পার্সোনাল ইউজ সফটওয়্যার ব্যতীত)-এর উপর অধিক কর ধার্যের মাধ্যমে দেশীয় সফটওয়্যার এবং আইটিইএস শিল্পকে আরও উৎসাহিত করা।
৫। একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মূলধন বৃদ্ধি করা এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোকে সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা ও রেজিস্টার্ড আউটসোর্সারদের জন্য ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও উপকমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ পুরো বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় একটি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্যও অর্জন করেছে। আমরা চাই, এই সাফল্যের ধারা যেনো আরও ত্বরান্বিত হয়। সে জন্যই বাজেটে আইসিটি খাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
