দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুগল গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে যে, তারা থ্রিডি ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং তার সাথে সাথে মোশন সেন্সিং বা গতিময় স্পর্শকাতরতার সামর্থ্য নিয়ে। গুগলের এই প্রজেক্টের নাম ট্যাঙ্গো।
গুগল বলেছে, তাদের এই ট্যাঙ্গো প্রজেক্টের মূল লক্ষ্যমাত্রা হলো মোবাইল ডিভাইসকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেন এর স্পেস এবং গতি মানবিক মাত্রার বোধগম্যতা কাজ করতে পারে। এর মানে হলো এই যে, আমাদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক গতিময়তার মতো যেন মোবাইল ডিভাইসের স্পর্শকাতরতা কাজ করতে পারে। গুগল তাদের এই ট্যাঙ্গো প্রজেক্টের সাথে যুক্ত করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা ল্যাব এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনারদের যা ছড়িয়ে আছে বিশ্বের নয়টি দেশে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে গুগল শুধুমাত্র মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধনের কাজের লক্ষ্যমাত্রায় স্থির না থেকে তাদের ধারণা আরো বিস্তৃত করছে। গুগল বুঝতে পেরেছে কয়েক বছরের মধ্যে প্রযুক্তি বিশ্বে নতুনভাবে জায়গা করে নিবে রোবটিক্স। তাই এই প্রযুক্তির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকার লক্ষ্য নিয়ে গুগলের এই ট্যাঙ্গো প্রজেক্টের যাত্রা।
গুগল ইতোমধ্যে ভয়েস রিকগনাইজিং ক্ষমতাসম্পন্ন এনভিডিয়া চিপস তৈরি করেছে যা বিভিন্ন ডেভেলপারদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হবে যেন তারা বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করতে পারে যা থ্রিডি মোশনের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে। ইতোমধ্যে এই প্রজেক্টের সাথে যুক্ত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত আমাজন ডট কম। আমাজন ডট কমের কিন্ডল স্মার্টফোনের থ্রিডি গ্রাফিক্সের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাজন এই প্রজেক্টের সাথে নিজেদের যুক্ত করেছে।
আমাজন এই মাসের ১৮ তারিখ তাদের এই নতুন প্রজেক্টের নতুন উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য কিন্ডল স্মার্টফোন অবমুক্ত করছে। আমাজন ইতিমধ্যে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষদের আমন্ত্রণপত্র প্রেরণ করছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাজন তাদের কিন্ডল ডিভাইসের সাথে সাথে বাজারে আনছে কিন্ডল স্মার্টফোন। এটি তাদেরকে অ্যাপল কিংবা গুগলের সাথে প্রতিযোগিতায় ফেলে দিবে না বরং তা হবে অ্যাপলের গান, চলচ্চিত্র বিক্রি এবং গুগলের বই বিক্রির এক নতুন অধ্যায়।
তথ্যসূত্রঃ টাইমসঅবইন্ডিয়া