দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আকস্মিক এই বন্যায় বহু ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের দুর্গম এলাকা বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক এই বন্যায় প্রথম দিনই অন্তত ৭৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত দু’শ মানুষ। ভেসে গেছে সহস্র গবাদিপশু। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রদেশের রাজধানী পুলি খুমরির প্রায় দেড়শ কিলোমিটার উত্তরে গুজারাগাহ-ই নুর নামক জেলায় বন্যায় প্রাণহানির ঘটনা বেশি ঘটেছে। ওই প্রদেশের বেশিরভাগ নারী এবং শিশুর প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ২০০ জন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা এই বন্যাকে ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বন্যায় ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। আঞ্চলিক এবং জাতীয় মহাসড়কগুলোও বন্যার তোড়ে তলিয়ে গেছে।
বাঘলান প্রদেশের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে বলেছেন, গুজারগাহ-ই-নূর জেলার ৪টি গ্রাম বন্যায় খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই জেলার প্রায় সবগুলো সড়ক এবং ব্রিজ-কালভার্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। হেলিকপ্টারে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সামান্যতম শুকনো স্থানও নেই সেখানে।
জানা যায়, বন্যা দুর্গতদের এখন পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, ওষুধ এবং জীবন বাঁচানোর খাদ্য দরকার। এটাকে এ যাবতকালের ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ সাধারণ জনগণ জমি, গবাদিপশু এমনকি তাদের আবাসস্থলও হারিয়েছে এই প্রবলতম বন্যায়। এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাদেশিক সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় নেমে পড়েছে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এই আকস্মিক বন্যার পর ওইসব ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ নিকটবর্তি স্থানে আশ্রয়ের জন্য ছুটে চলেছেন।