দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সেই বিস্তারিত রায় দিযৈছে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রবিবার এই রায় প্রদান করা হয়। এই রায়ে সংশ্লিষ্টদের দোষী হওয়ার বিস্তারিত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮ ও ১৯ জুন শেষ শুনানীর পর চূড়ান্ত রায়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পাতানো ম্যাচের তদন্তে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গতকাল রবিবার দ্বিতীয় দফায় বিস্তারিত এই রায় দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, আইসিসি এবং ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত কারণগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। তবে এখনও রায়ের বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামউদ্দিন সুজন এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,‘আমরা ট্রাইব্যুনালের বিস্তারিত রাযের কপি পেয়েছি। লিগ্যাল পরামর্শকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।’
গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি প্রথম দফায় সংক্ষিপ্ত রায় দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চূড়ান্ত রায় হবে এ মাসের শেষের দিকে। আগামী ১৮ ও ১৯ জুন হবে শেষ দফা শুনানি। সেই শুনানীতে দোষী ব্যক্তি বা তাদের আইনজীবিরা নিজেদের পক্ষে আরেকবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে ও শাস্তি কমানোর আবেদন করতে পারবেন। আর রবিবারের রায়ের ফলে যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে তারা অব্যাহতি পাবেন।
২৬ ফেব্রুয়ারির প্রথম দফা রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিক, ফাস্ট বোলার মাহাবুবুল আলম, স্পিনার মোশারফ হোসেন, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী গৌরব রাওয়াদ এবং ইংলিশ ক্রিকেটার ড্যারেন স্টিভেন্স। ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। অপরদিকে দোষী সাব্যস্ত হন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী এবং শ্রীলঙ্কার কৌশল লুকায়ারাচ্চি।
উল্লেখ্য, গতবছর ১৩ অগাস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিসি এবং বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করে প্রথম বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর জন্য জড়িত থাকায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।
এরপর ১৪ অক্টোবর আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদকে ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান নিয়োগ করে বিসিবি। তিনি সেই মোতাবেক ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের ১০ সদস্যও নিয়োগ করেন। ১০ নভেম্বর প্যানেলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। এই ট্রাইব্যুনাল অপর ২ সদস্য হলেন- আজমামুল হোসেন কিউসি এবং সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।