দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের করাচি জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে জঙ্গী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিমান বন্দরের তিনটি বিমান।
রোববার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ একে-৪৭, গ্রেনেড সহ বিমান বন্দর এলাকায় হামলা চালায়। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিমান বন্দরে অবস্থান করা সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে যায় এবং বেশ কিছু সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
রাতভর দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ১০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে ঘটনার পর পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নিতে তলব করা হয়েছে।
প্রথম আক্রমণের প্রায় দুই ঘণ্টা পর বড় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা বড় আকারের বোমার বিস্ফোরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এয়ারপোর্ট ওয়ার্কশপের পাশ থেকে। রাও মোহাম্মদ আনোয়ার নামের এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এখনো সন্ত্রাসীদের সাথে বন্ধুক যুদ্ধ চলছে। সন্ত্রাসীরা ভারী ও হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা ৩টির মত বিমানে বিস্ফোরক দিয়ে আগুন দিয়েছে। বিমান বন্দরের ভেতরে এখন অনেক যাত্রী আটকা পড়ে আছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যাত্রীদের নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি যাত্রীদের সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমান বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছেন।
এদিকে পাকিস্তান বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার বরাতে এপি জানিয়েছে, করাচির জিন্নাহ বিমান বন্দর থেকে উড়ালের জন্য নির্ধারিত সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং তা অন্যান্য বিমান বন্দরে অবতরণের এবং উড্ডয়নের জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ মোট ১৩ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ১০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। দেশটির কোনো সশস্ত্র সংগঠন এখনও এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। দেশটিতে নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
সূত্রঃ ম্যাশাবল