দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানীজ টেকনোলজি জায়ান্ট সফটব্যাংক নতুন একটি রোবট উদ্ভাবন করেছেন যা তাদের দাবি মতে মানুষের আবেগ বুঝতে সক্ষম। কেননা এই রোবটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইমোশনাল ইঞ্জিন এবং এটি ক্লাউড বেজড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আবেগের বহিঃপ্রকাশ করতে সক্ষম।
পিপার নামের এই রোবটটি এক মিটার লম্বা এবং তার বুকে একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার স্থাপিত রয়েছে। পিপার আগামী বছর জনসাধারণের জন্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ১৯৮০০০ ইয়েন বা ১১৫০ পাউন্ড হবে এর দাম। এর নির্মাতাদের দাবি এই রোবটটি বেবিসিটিং এবং বয়োবৃদ্ধদের দেখাশোনার জন্য ব্যবহার করা যাবে। সফটব্যাংক কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী মাসায়োশি এই রোবটটি নির্মাণ সম্পর্কে বলেন, মানুষ একজন আরেকজনকে বলে রোবটের কোন আবেগ নেই এবং তাদের হৃদয় বলে কোন কিছু নেই। কিন্তু মানবজাতির ইতিহাসে আমরা প্রথম একটি রোবটে হার্ট স্থাপন করলাম। পিপার ক্রমাগতভাবে মানুষের মিথস্ক্রিয়া গ্রহণে সক্ষম। রোবটের এই অভিজ্ঞতাটি আসবে তার ক্লাউড বেজড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে যেখানে মানবিক গুণাবলি সম্পর্কে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম। এর রয়েছে পুরো মানবদেহের মতো বাহু এবং তার শরীরটি চাকার ন্যায় ঘুরানো ফেরানো যায় এমন একটি কাঠামোর মধ্যে স্থাপিত।
জাপান ২০১২ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রোবট মার্কেট স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে যার সম্পদমূল্য আনুমানিক ৮৬০ বিলিয়ন ইয়েন বা ৫ বিলিয়ন পাউন্ড। জাপান আশা করছে তাদের এই বাজারকে তারা ২০২০ সালের মধ্যে ২.৮৫ ট্রিলিয়ন ইয়েনে রুপান্তরিত করতে পারবে। কেননা জাপানের জন্মহার দিনকে দিন কমছে ফলে আরো অনেক বেশি কর্মীর প্রয়োজনে তাদেরকে রোবটের উপর নির্ভরশীল হতে হবে।
তথ্যসূত্রঃইন্ডিপেন্ডেন্ট