দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইঁদুরকে গিনিপিগ বানিয়ে বিশ্বে বিভিন্ন সময় আবিষ্কার করা হয় মানব দেহের নানা ওষুধ। কিন্তু এবার বিস্ফোরক খোঁজার কাজে ব্যবহার করা হবে ইঁদুরকে। সমপ্রতি এমনই খবর বেরিয়েছে মেইল অনলাইনে।
নিরাপত্তা নিয়ে দেশে দেশে উদ্বেগের শেষ নেই। নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যয় করা হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম এমনকি কুকুরও ব্যবহার করা হচ্ছে সন্ত্রাস দমনে। পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণও মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রাণিকুলের মধ্যে মানুষের কাছে সবচেয়ে বিশ্বস্ত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। কোথাও বোমা হামলা হলে, মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে এমনকি দুর্ঘটনার পর মানুষকে উদ্ধারে কুকুর দল (ডগ স্কোয়াড) নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ধেই ধেই করে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য টেলিভিশনের খবরে বা বাস্তবে আমরা অনেকেই দেখেছি। কুকুরের পারদর্শিতার ব্যাপারেও আমরা আস্থাশীল; তবে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান শোনাচ্ছে নতুন কথা। তারা নিরাপত্তা এবং উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইঁদুরকে। প্রশিক্ষণ পাওয়া এসব ইঁদুর বিস্ফোরক মাদকদ্রব্য কিংবা সন্দেহজনক অন্য কোনো বস্তুর অস্তিত্বের প্রমাণ পেলে সংকেত দেবে নিরাপত্তা প্রহরীকে। আর এভাবেই সেগুলো নিরাপত্তা রক্ষায় রাখবে বড় ভূমিকা।
ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের পরিচালিত নিরাপত্তা কোম্পানি টামার গ্রুপ বলছে, তাদের পদ্ধতি একদিন নিরাপত্তা রক্ষায় বর্তমান কর্মধারা পাল্টে দিতে পারে। গ্রুপের সিইও বোয়াজ হায়োন বলেন, তাদের পদ্ধতির নাম বায়ো এক্সপ্লোরার। প্রশিক্ষণ দেওয়া ইঁদুরগুলোর দেহে থাকবে সেন্সর। বিস্ফোরক বা মাদকদ্রব্যের কাছে গেলে ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তনের সংকেত সেন্সরের মাধ্যমে চলে যাবে কম্পিউটারে। কম্পিউটার এসব বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সংকেত দেবে নিরাপত্তা প্রহরীদের।