দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ইরাকে সেনা পাঠিয়েছে ইরান। গতকাল শনিবার ইরাকের পক্ষ থেকে সেনা পাঠানোর বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্তের (আইএসআইএল) বিরুদ্ধে ইরাকী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ২ হাজার সেনা পাঠিয়েছে ইরান। আইএসআইএল কর্তৃক তিকরিত এবং মুসুল শহর দখলের পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বলেছিলেন, ‘আমরা ইরাককে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার সেনা পাঠিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরাকের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়, গত পরশু শুক্রবার দিয়ালা প্রদেশের খানাকিন শহরে দেড় হাজার ইরানি সেনা প্রবেশ করে। আর বাকী ৫০০ সেনা দেশটির উত্তরাঞ্চীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে ইরাকের শিয়া নেতা আয়াতুল্রাহ আলী সিসতানির ডাকে শিয়ারাও অস্ত্র হাতে আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ইতিমধ্যে তারা সংগঠিত হচ্ছে বলে সংবাদ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, দেশটির প্রেসিডেন্ট নুরি আল মালিকিও বিদ্রোহীদের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক ইরাকীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার কথা ঘোষণা করেন।
আইএসআইএল আক্রমণের ঘটনায় দুটি শত্রু রাষ্ট্র ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এক প্লাটফরমে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য পাঠানোর হুমকিতেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান। অবশ্য এই বিষয়টি রুহানি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ইরান তার শত্রু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে শুধুমাত্র সুন্নি বিদ্রোহীদের দমন করতে।’ ইরান মনে করে, ‘গোষ্ঠীটি ইরাকের বাইরেও সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা বাঁধানোর চেষ্টা করছে।’