দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রাজিলে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের শুরু থেকেই মানবাধিকার কর্মীরা, দেশের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকগণ এই আয়োজনের বিরোধিতা করে আসছেন। তাদের দাবি যে দেশে এখনো অনেক মানুষ গৃহহীন, খাদ্যহীন এবং কর্মহীনভাবে বসবাস করছে সেই দেশে এই বিলাসবহুল খেলার আয়োজন সম্পদের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
ব্রাজিল এই পর্যন্ত পাঁচবার বিশ্বকাপ জয় করেছে কিন্তু এই বিশ্বকাপ জয় তাদের অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন করতে পারেনি। এখনো ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবগুলো তাদের দেশের কিশোরদের ফুটবলে পাকাপোক্ত করে গড়ে তুলে যেন তারা তাকে বেশি দামে ইউরোপের ক্লাবের কাছে বিক্রি করতে পারে। গত বছরের জুন মাস থেকে আন্দোলনকারীরা ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোত জড়ো হতে শুরু করে এই ফুটবল বিশ্বকাপের আন্দোলনের বিপক্ষে। এমনকি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুর আগেও আন্দোলনকারীরা সাওপাওলোর বাইরে আন্দোলন করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। ব্রাজিলের সরকার বলছে, এই আন্দোলন লোক দেখানো সেখানে এমন ধরনের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এই ছবিটি ব্রাজিলের সেই চাপানো সত্যকে আরো বেশি করে তুলে ধরে।
ফটোগ্রাফার এডিমার সোউয়ারেস এই ছবিটি তুলেন ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন কাপের ব্রাজিল আর মেক্সিকোর খেলার সময়। যখন দর্শকরা সারি বেঁধে মাঠে খেলা দেখতে ঢুকছেন তখন রাস্তার পাশের একটি ডাস্টবিনের ভেতরে একটি কিশোরী খাবার খুঁজছে খাওয়ার জন্য। এই ছবিটির মাধ্যমে বোঝা যায় কেন ব্রাজিলিয়ানরা তাদের দেশের এই খেলার আয়োজনের বিরোধী ছিল। রেডিটের মধ্যে পোস্ট করা এই ছবিটি তখন সারাবিশ্বের নজর কাড়ে, একজন রেডিট ব্যবহারকারী লিখেন যে, একটি গরিব কিশোরী খাবার খুঁজছে ডাস্টবিনে আর তারপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে একদল মানুষ একটি ব্যয়বহুল খেলা দেখতে।
ব্রাজিল সরকার এই বিশ্বকাপের আয়োজনে খরচ করেছে প্রায় ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এই অর্থ পরিমাণটি তারও দ্বিগুণ হবে। কেননা ফিফা বিশ্বকাপ বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল একটি খেলার আয়োজন।
তথ্যসূত্রঃবিজনেসইনসাইডার