দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বে অ্যাকিউট ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সি সিনড্রোম (এইডস) রোগের মহামারীর দিন শেষ হয়ে আসছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। মূলত এইডস রোগ সংক্রমণের জন্য দায়ী হিউম্যান ইমিউনোডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) প্রতিরোধী ও এ সংক্রমণ প্রতিকারে ব্যবহৃত ওষুধ সুলভ হয়ে ওঠার ফলেই এ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সমপ্রতি জাতিসংঘের এইডস কর্মসূচির ইউএনএইডসের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে সারাবিশ্বে ৩ কোটি ৪০ লাখ এইচআইভি সংক্রমিত মানুষ ছিল। এইডসে মৃত্যুর পরে এ সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখে নেমে আসে, যা ২০১০ সালে বিশ্বে এইচআইভি সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে ১০ লাখ কম। ২০১০ সালে বিশ্বে এইচআইভি সংক্রমিতের সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৮০ লাখ। ২০০৫ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ২ কোটি ৩০ লাখ এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ ছিলো বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
রক্তের মাধ্যমে ও যৌন সংসর্গের কারণে নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণের হারও বিশ্বজুড়ে কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। ২০১১ সালে নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো ২ কোটি ৫০ লাখ, যা ২০০১ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ১৯৯৫ সাল থেকে ওষুধের মাধ্যমে এইডসের চিকিৎসায় দরিদ্র দেশগুলোর ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের ৯০ লাখ মানুষ রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের বসবাস সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে, যেখানে প্রতি ২০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন এইচআইভি আক্রান্ত। এশিয়ার চেয়ে এইচআইভি সংক্রমিতের সংখ্যা সেখানে পাঁচগুণ বেশি। দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো মিলিয়ে এইচআইভি সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ।
২০১১ সালে প্রায় ৮০ লাখ মানুষকে এইডসের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, যা ২০০৩ সালের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। ২০১৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ। ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক মিশেল সিডিবে বলেন,‘এ প্রকল্পের কাজের গতি ক্রমেই বাড়ছে। যে লক্ষ্য অর্জনে আগে পুরো দশক পেরিয়ে যেত তা এখন ২৪ মাসের মধ্যেই সম্ভব।’ তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এবং তা অনুুসরণ করলে সার্বজনীন লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, এটি তারই প্রমাণ। (তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)