দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র ২৬ বছর বয়সে ক্লাব এবং দেশের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ও বার্সা তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। লিওনেল মেসিকে পুরোপুরি মূল্যায়নের সময় হয়তো এখনো আসেনি কিন্তু তারপরও দুই স্থানেই সমান দক্ষতায় খেলে যাচ্ছেন এই তারকা। সামনের দিনগুলো দেশ এবং ক্লাবের জন্য কি করতে চান তা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
ইতালিয়ান ক্রীড়ালেখক লুকা কাইয়োলিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সময়ের এই সেরা খেলোয়াড়৷ সেখানেই উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও পেশাদার জীবনের নানা কিছু৷ এখানে সেই সাক্ষাৎকারের কিছু চুম্বকীয় অংশ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
কাইয়োলি: জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটি?
মেসি: আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে পাড়ি দেওয়া৷ আমি আমার বাড়ি, বন্ধুবান্ধব ও দেশের মানুষকে ছেড়ে চলে আসি৷ স্পেনে প্রথম কয়েক বছর খুবই কষ্টে কেটেছে৷ আমার মা, দুই ভাই ও
ছোট বোনকে খুব মিস করেছি৷ ঘরে বসে একা কেঁদেছি৷
কাইয়োলি: জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত কোনটি?
মেসি: আমার ছেলে থিয়াগোর জন্ম৷
কাইয়োলি: পেশাদারি জীবনের আনন্দময় মুহূর্ত কোনটি?
মেসি: বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জয়৷
কাইয়োলি: ব্যালন ডি’অর ট্রফি জয়টা কীভাবে দেখছেন?
মেসি: এমনিতেই ব্যালন ডি’অর জয়ই একটি অবিশ্বাস্য বিষয়, সেখানে চারটি ব্যালন ডি’অর! এটাতো নিশ্চয়ই অসাধারণ৷
কাইয়োলি: ফুটবলের প্রতি কেন এত ভালোবাসা?
মেসি: আমি নিজেও জানি না৷ অন্য সবার মতো শৈশবে আমারও এটির প্রতি প্রথম ভালোবাসা জন্মে৷ আমি এখনো এটি উপভোগ করি৷ ফুটবল খেলাটা আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিসের একটি৷
কাইয়োলি: কোথা থেকে এত সব কৌশল শিখলেন?
মেসি: প্রতিটা মুহূর্ত বলের সঙ্গে কাটিয়ে৷ আমি যখন ছোট ছিলাম, সারাক্ষণ বল নিয়ে কারিকুরি করতাম৷
কাইয়োলি: ফুটবলের প্রতি আপনার ভালোবাসার উৎস কে?
মেসি: আমার নানি সেলিয়া৷ তিনিই আমাকে প্রথম মাঠে নিয়ে গিয়েছিলেন৷
মেসি তার এই সাক্ষাৎকারে তার ক্রীড়াজীবনের আরো অসাধারণ কিছু মুহুর্তের কথা তুলে ধরেন। সামনের দিনগুলোতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান কাইয়োলির এই প্রশ্নের জবাবে মেসি বলেন, যেখানেই খেলি খেলাটা উপভোগ করতে চাই, নিবেদিত হতে চাই। আর সর্বোপরি আর্জেন্টিনার হয়ে সারাজীবন খেলতে চাই এবং আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হতে চাই।