দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরাক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। জঙ্গী গ্রুপগুলো তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইরাকে সশস্ত্র ড্রোন পাঠিয়েছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক উপদেষ্টাদের রক্ষা করার জন্যই পাঠানো হয়েছে এই সব ড্রোন। অপরদিকে ইরাকে যে বিমানগুলো পাঠানো হয়েছে তারমধ্যে মানবহীন বিমান ছাড়াও মানববাহী কিছু বিমানও রয়েছে। এইসব বিমানগুলো ইরাকের বিভিন্ন স্থানে সারাদিন পর্যবেক্ষণ চালাবে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ইরাকে তাদের ড্রোন পাঠানোর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেভাবেই হোক অর্থাৎ প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন উপদেষ্টাদের রক্ষা করা হবে।
মার্কিন এই ঘোষণা আসার কিছুক্ষণ আগেই ইরাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার জন্য তাগিদ দেন ইরাকের শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানি।
ইরাকে চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠনের অংশ হিসেবে নতুন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকার নিয়োগ দেবার জন্য জোর দেয়া হচ্ছে।
উল্রেখ্য, সম্প্রতি সুন্নি জঙ্গিরা লড়াই করে ইরাকের মসুলসহ বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে। জঙ্গীদেরকে নিবৃত্ত করতেই ইরাক সরকারের সঙ্গে কাজ করছে মার্কিন সরকার। ইরানও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে গিয়ে মার্কিনীদের মতো একাত্মতা ঘোষণা করেছে।