দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদের বাজারে নারী পকেটমারের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এরা ক্রেতা হিসেবেই পাশে থেকে কাজ সেরে গায়েব হয়ে যায়।
আপনি কেনাকাটা করতে গেলেন এবং পছন্দের পণ্য দেখছেন, এই ফাকে কখন যে আপনার সাথের নারী আপনার ব্যাগ থেকে সব কিছু নিয়ে চম্পট দিয়েছে নিজেই টের পেলেন না। হঠাৎ দাম দিতে যেয়ে দেখেন ব্যাগের চেইন খোলা! এমন পরিস্থিতে পড়ছেন বর্তমানে বাজারে যাওয়া অনেক নারী এবং ক্রেতা।
সাধারণত নারী হলে তার দিকে সেভাবে অনেকেই খেয়াল করেন না, নারীদের পণ্য বাজারে ভিড় একটু বেশিই থাকে, এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে নারী পকেটমারেরা। এরা অনেক সংগঠিত ফলে এক সাথে দুই তিন জনের এক দল যে কোন কাস্টমারকে টার্গেট করে একটি দোকানে ক্রেতা সেজেই প্রবেশ করেন এবং সময় ও সুযোগ বুঝে পাশের ক্রেতার ব্যাগ থেকে সব লুটে নিয়ে চলে যান।
সুফিয়া বেগম তেমন একজন ক্রেতা যিনি নারী পকেট মারের কবলে পড়েন। তিনি বলেন, কেনাকাটার একপর্যায়ে তিনি লক্ষ্য করেন তার ভ্যানিটি ব্যাগের চেইন খোলা। সর্বনাশ! ব্যাগ খোঁজ করে দেখেন তার নতুন কেনা আইফোন এস মোবাইল ও পাঁচ হাজার টাকা নেই। কেনাকাটা করার সময় তার পাশে থাকা দু’নারীও নেই। মোবাইল ও টাকা হারিয়ে মন খারাপ করে বাড়িতে ফিরে যান তিনি। এরপর তিনি জিডি করেন পল্লবী থানায়।
সুফিয়া বেগম বলেন, ইফতারির কিছুক্ষণ পর আমি মার্কেটে গিয়েছিলাম কেনাকাটার জন্য। পণ্য দেখার সময় আমার আশেপাশে দু’জন মেয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। একটি কাপড় দেখার সময়ই সুযোগ বুঝে কাণ্ডটি ঘটান তারা।
শুধু সুফিয়া বেগম-ই নন, রাজধানীসহ দেশের সকল মার্কেটগুলোতে নারী পকেটমারদের শিকার হয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকে। এক শ্রেণীর নারী বড় বড় শপিংমলে নারীদের টাকা, মোবাইল চুরি করছেন। ঘটনার শিকার কিছু নারী আইনের আশ্রয় নিলেও একটি বড় অংশই থানা পুলিশের ‘ঝামেলা’ থেকে দূরে থাকেন।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, উত্তরার বড় বড় শপিং মলের পাশাপাশি ধানমন্ডি, মৌচাক, মগবাজার, গুলিস্থান, ফার্মগেট এমনকি ফুটপাতেও এদের বিচরণ রয়েছে। কখনো বোরকা পরে আবার কখনো সাধারণ বেশে টাকা, মোবাইল, ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড চুরি করেন তারা।
অতএব, ঈদ বাজারে গেলে সাবধান, নারী কিংবা পুরুষ যেকোনো প্রকারের সন্দেহ ভাজন দেখলেই নিজেকে সাবধানে রাখুন এবং প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করুন।
সূত্র- বাংলা নিউজ