বয়ঃসন্ধিকাল বা যৌবনের শুরুতেই কিশোরদের যে ৭ টি পরিবর্তন হয়

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ একজন কিশোর যখন তার বয়ঃসন্ধিকাল বা যৌবনে পা দেয় -তখন সে মুখোমুখি হয় বিচিত্র সব শারিরীক ও মানসিক অনুভূতির। এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। শরীর ভর্তি শিহরণ নিয়ে তার দিন কাটে, রাত কাটে। আজ আমরা জানবো যৌবনের শুরুতেই কিশোরদের যে ৭ টি পরিবর্তন হয় তার বিষয়ে।

মেজাজ রুক্ষ হয়ে যায়:

এই সময় নিজেকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে কিশোর। না জানি কী জটিল রোগে সে ভুগছে! এই ভেবে অস্থির হয়ে পড়ায় এবং নিজেকে লুকাতে গিয়ে তার মেজাজ হয়ে যায় রুক্ষ। অল্পতেই রেগে যায় সে। তার ক্ষ্যাপাটে আচরণ সবারই চোখে পড়ে।

ঘুমাতে চায় প্রচুর:

সে প্রচুর ঘুমাতে চায়। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সে দখল নিতে চায় রাজকন্যার। সে ভেসে বেড়াতে চায় সাত আসমান। আর যেহেতু হরমোন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই সে অবসাদ বোধ করে অনেক। ফলে ঘুম পায় তার আর খুব ঘুমাতে ইচ্ছা করে।

পৃথিবীর নিষিদ্ধ জগত তার চিন্তাকে টেনে নেয়:

যেহেতু আমাদের সমাজে প্রেম-কাম ও নারী সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিষিদ্ধ। তাই তার চিন্তা ছুটে যায় সেই সব নিষিদ্ধতার দিকে। সে নিজেকে জানতে চায়। জানতে চায় নিজের শরীরে সব কিছু। তার চিন্তা জুড়ে তখন শরীর আর অনুভূতির শহর।

যৌবনের শুরুতে একজন কিশোরের চিন্তা জুড়ে নারী নতুন মাত্রা নিয়ে আসে:

এতো দিন দেখে আসা নারীকে সে নতুন ভাবে দেখতে শেখে। তার চোখের সামনে উন্মোচিত হয় নতুন রূপ। শুধু জননী নয়, নয় বোনেরা; আরও এক নতুন সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা সে অনুভব করতে থাকে। তার অসীম ভালোলাগার পৃথিবী বদলে যেতে থাকে অন্য কোথাও। সে খুব গভীর ভাবে জানতে চায় নারীকে।

পাপ বোধ:

তার মনে হতে থাকে সে অপরাধী। সে হয়তো শয়তান হয়ে গেছে কিংবা শয়তান আছর করেছে তার উপর। না হলে কেন এমন হবে তার! তার কেন নারীর শরীর নিয়ে ভাবতে ভালো লাগবে? তার চিন্তা ও চাহিদা কেন পাল্টে যাবে এভাবে? এক ধরণের পাপ বোধে সে ভোগে। খুঁজে পরিত্রানের পথ। না পেয়ে হতাশ হয়।

বিচ্যুত আচরণ:

যখন সে তার শরীর ও মনের পরিবর্তন সামলাতে পারে না। যেহেতু আমাদের সমাজ বলে তার এই শরীর ও মনকে অবদমন করতে। এবং সে বোঝে উঠতে পারে না কী করতে হবে। কাউকে বলার মতো সে খুঁজে পায় না। তার বয়স সবাইকে তার শত্রু করে দেয়। ফলে কিছু বিচ্যুত আচরণ সে করে ফেলে। হয়তো অকারণেই মিথ্যা বলে। কাউকে আঘাত করতে ভালো লাগার মতো ব্যাপারও তার ভেতর ঘটতে পারে।

প্রেমে পড়তে চায়:

যেহেতু সে বুঝে ফেলে সে একা সম্পূর্ণ নয়। তার সম্পূর্ণতা অন্য কোথাও। তাই সে প্রেমে পড়তে চায়। সব কিছু উজার করে দিয়ে কাউকে সে ভালোবাসতে চায়। কেউ কেউ নিজের অজান্তেই ভয়ানক ভাবে প্রেমে পড়ে যায়। তারপর চুপচাপ কাঁদে অসহায়ের মতো। সেই প্রেম প্রকাশের সাহস থাকে না অনেকের। অনেকেই আবার হয়ে ওঠে চরম সাহসী। প্রেমের জন্য করতে পারে না এমন কোন কাজই সে করা থেকে বিরত থাকে না।

কিশোরের বয়ঃসন্ধিকাল খুবই জটিল একটা সময় তার জন্য। অভিভাবক হিসেবে তখন আমাদের উচতি তাকে মানসিক পরিষেবা দেয়া। তার মানসিক অস্থিরতা থেকে উঠে আসার জন্য আমাদের সহযোগিতা করা উচিত।

ধন্যবাদান্তে- হ্যালো টুডে