দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ সামনে রেখে কারখানায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পা দিয়ে মাড়িয়ে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা-সেমাই। অনুমোদনবিহীন এসব সেমাই ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন যায়গায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে স্বাস্থ্যগত ফিটনেসবিহীন শ্রমিকেরা খালি গায়ে পা দিয়ে মাড়িয়ে সেমাইয়ের খামির তৈরি করছে। তাদের শরীরের ঘাম পড়ছে খামিরের ওপর। এছাড়া আবর্জনাময় কারখানার ভেতরে মাছি ভন ভন করছে। বৃহস্পতিবার আদমদীঘি উপজেলা শহর, সান্তাহার, নশরতপুর, মুরইল বাজার ও ছাতিয়ান গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
প্রত্যেক বছর এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের আটা ও ময়দার সাথে পামওয়েল তেল ব্যবহার করে শরীরের ঘাম ও ধুলাযুক্ত পা দিয়ে এগুলোকে মাড়িয়ে লাচ্ছা-সেমাই তৈরি করে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজসেই বছরের দু’টি ঈদকে সামনে রেখে মৌসুমি লাচ্ছা ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অনুপযোগী খাবার তৈরি করেন। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব লাচ্ছা-সেমাই খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রোজাদারগণ সহ শিশুরা।
এসব সেমাই তৈরির এক এক কারখানা মালিক জানান, স্থানীয় স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের(স্বাস্থ্য পরিদর্শক) সঙ্গে আতাঁত করেই দুই ঈদে সেমাই তৈরি করা হয়। এজন্য তাদের মেশিনের প্রয়োজন হয় না।
আদমদীঘি উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ভবেশ চন্দ্র রায় এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যারা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা-সেমাই তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।