দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে চীনে। চীনে এর আগে মুসলিমদের উপর রোজা রাখার নিষেধাজ্ঞা দেয় চীনা সরকার। এবার দেশটিতে মুসলিমদের জোর করে রোজা ভাঙ্গানো হচ্ছে বলেই খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।
চীনের মুসলিম শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, রোজা রেখেছে কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য শিক্ষকদের সাথে খেতে বসতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সাথে তারা রোজা রাখলে জোর করে পানি বা অন্য কোন পানিও তাদের মুখে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
শিনজিয়াং প্রদেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীরা আরও জানান, খাবার খেতে কেউ অস্বীকৃতি জানালে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এদিকে কিছু শিক্ষার্থী জানিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই মুসলিম ছাত্রদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে বাঁধা দিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ থেকে জানানো হয়েছে রোজা রাখলে ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আপনি যদি এখানে স্বাভাবিক জীবন চান, তাহলে রোজা না রাখাটাই উত্তম। রোজা রাখলে আপনাকে পোহাতে হবে নানান বঞ্চনা। এখন আপনি কি বেছে নিবেন? ধর্ম, নাকি শান্তিতে বসবাস?
প্রসঙ্গত, চীনে রোজা রাখার ব্যাপারে সরকারের বাড়াবাড়ি এইবারই প্রথম নয়। কয়েক বছর আগে থেকে চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার এই অঞ্চলসহ সমগ্র চীনে রোজা রাখায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে।
চীনে মুসলিমরা সংখ্যালঘু হলেও শিনজিয়াং অঞ্চলে প্রচুর ইসলাম ধর্মাবল্বী রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই উইঘুর সম্প্রদায়ের। ধর্মীয় রীতি-নীতিতে হস্তক্ষেপের কারণে চীনা সরকার সাথে উইঘুরদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
সূত্র- আইবিটাইমস