দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪ আসরের একেবারে শেষ পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। নেদারল্যান্ডস রাতের তৃতীয় স্থান নির্বাচনিতে জয়ী হয়েছে। স্বাগতিক ব্রাজিল চেয়েছিল শান্ত্বনা জয়। কিন্তু তাও জোটেনি তাদের ভাগ্যে!
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে অনেক ঘটনায় ঘটে থাকে। অনেক অঘটনের মধ্যে এবার স্পেনের পরাজয়। সাবেক এই চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার নাস্তা নাবুদ হয়েছে। কেও কি এমনটা কল্পনাও করেছিলেন? কিন্তু তারপরও ঘটে গেছে এমন ঘটনা। মেক্সিকোর এমন গোলকিপার নিয়ে খেলা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন মেক্সিকোর গোলকিপার হয়তো উপরে উঠতে সাহায্য করবে। কিন্তু তা কি ঘটেছে?
এমনিভাবে শুরুটা দেখে কেওকি ভেবেছেন ব্রাজিল এভাবে বিদায় নেবে? জার্মানির কাছে ৭টি গোল হজম করবে স্বাগতিক ব্রাজিল তা মনে হয় জোতিষিরাও বলতে পারেননি। অঘটনের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিদায় এমনই একটি ঘটনা হয়ে ইতিহাস হয়ে রইলো। ভোরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডস্ এর মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। ব্রাজিল সমর্থকদের খুব সামান্য প্রত্যাশা ছিল। আর তা হলো এই ম্যাচে অন্তত শান্ত্বনা জয় অর্জন করে তৃতীয় স্থান অধিকার করা। কিন্তু তাও জোটেনি তাদের ভাগ্যে। নেইমারের মতো খেলোয়াড় আঘাত পেয়ে খেলা থেকে ছিটকে পড়ার মতো ঘটনা স্বাগতিক ব্রাজিলকে কোন স্থানে নিয়ে এসেছে তা সবাই দেখেছে।
ভোরের খেলার সময় খেলোয়াড়দের শান্ত্বনা দিতে নেইমারও খেলার মাঠে বক্সে উপস্থিত ছিলেন। সতীর্থদের উৎসাহ দিতেই এ কাজটি করা হয়েছিল। কিন্তু না তাতেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত শান্ত্বনা জয়, এমনকি নব্বই মিনিটের খেলায় একটি গোলও করতে পারেনি ব্রাজিল। বরং ৩টি গোল খেয়ে নিরবে হজম করতে হয়েছে তাদের। একেই বলে ভাগ্য! কপালে না থাকলে আর করার বা কিই আছে। তবে ব্রাজিলকে দেওয়া প্রথম গোল নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। কারণ যে কারণে রেফারি পেনাল্টি দিয়েছেন দর্শকদের কাছে তা মোটেও ভালো ঠেকেনি। ডি বক্সে যে ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড ও পেলাল্টি দেওয়া হয় সেটি ছিল একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ওটি ফাউল বলেই মনে হয়নি। তবে কপালে যদি না থাকে তাহলে সেটি কেও চেষ্টা করলেও হয় না সেটি প্রমাণ হয়েছে। ব্রাজিল শান্ত্বনা জয় পেলে হয়তো বিশ্ববাসীর সঙ্গে ব্রাজিলের বাংলাদেশের সমর্থকরা একটু শান্তি পেতেন এইযা।