দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের এই মরিচের নাম গিনেজ বুকে উঠেছে আগেই। এখন বলা হচ্ছে এই মরিচ উৎপাদন করে আড়াই হাজার কোটি টাকার বাজেট মোকাবেলা করাও সম্ভব! কারণ এক গ্রাম মরিচের দাম যদি হয় তিন লাখ টাকা, তাহলে সেটা অসম্ভব কিছু নয়।
বাংলাদেশের মাটিতে জন্মনেয়া সোনার চেয়ে দামি এ মরিচের নাম নাগা মরিচ,ইংরেজিতে ক্যাপসাইসিন। এটির স্বত্ব বাংলাদেশের। আমাদের নাগা মরিচে থাকা প্রাকৃতিক ক্যাপসাইসিন যৌগ থেকে এন্টি ক্যান্সার ওষুধ, ব্যথা নির্মূল, ওজন ঠিক রাখা প্রভৃতির ওষুধ তৈরি হয়। যে কারণে ক্যাপসাইসিন খুবই মূল্যবান একটি মরিচ। এর এক গ্রামের দাম তিন লাখ টাকার অধিক।
এদিকে বিশ্বের সব মরিচের ঝালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে বাংলাদেশের এই নাগা মরিচ। জন্মস্থান বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল ছাড়াও ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও শ্রীলঙ্কার কিছু গ্রামাঞ্চল। যেখানে এটি নাই মিররিস: কোবরা চিলি (Nai Mirris: Cobra Chilli) নামে পরিচিত। তবে উৎপাদিত বৃহত্তর সিলেটের নাগা মরিচ এখন যুক্তরাজ্যের লন্ডন সিটির বিখ্যাত চেইন শপ টেসকোতে পাওয়া যায়।
২০০৭ সালে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নাগা মরিচকে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল মরিচ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা ট্যাবাসকো সস (Tabasco sauce) থেকে ৪০১.৫ গুণ বেশি ঝাল। বেশ কিছুদিন যাবৎ ভারত এ মরিচ তাদের বলে দাবি করলেও নাগা মরিচের সত্ত্বাধিকার একমাত্র বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা ইন্সটিটিউট বগুড়ার পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. ভাগ্য রানী বণিক জানান, সম্প্রতি ক্যাপসাইসিন প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি মেশিন তারা পেয়েছেন। তবে প্রশিক্ষিত বৈজ্ঞানিক ছাড়া এসব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কাজ করা খুবই কঠিন। সরকারের যত্নশীল, গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি থাকলে ক্যাপসাইসিন দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে। মরিচের যৌগ রপ্তানি করে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বাজাটের বিশেষ ঘাটতি।