দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবজি হিসেবে টমেটো অনেকের পছন্দ। সম্প্রতি নানা গবেষণায় দেখা গেছে, হৃৎপিন্ডের সুস্থতায় কিংবা কিডনি ভালো রাখতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তবে আপনি জানেন কি এবার বিষণ্নতার দাওয়ায় হিসেবে টমেটোর ভূমিকা দেখা গেছে। সপ্তাহে কয়েকবার টমেটো খেলে বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা অর্ধেক হ্রাস পেতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এ দাবি করে বলা হয়েছে, ৭০ বা তার বেশি বয়সী এক হাজার জাপানি নারী-পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের রেকর্ড ও খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে ছয় বার যারা টমেটো খেয়েছেন তাদের বিষাদে ভোগার হার অন্যদের তুলনায় ৪৬ শতাংশ কম। প্রতিদিন টমেটো খেলে বিষণ্নতায় ভোগার হার ৫২ শতাংশ হ্রাস পায়।
গবেষণায় দেখা যায়, অন্য ফলমূল ও শাক সবজিতে টমেটোর মতো সমান উপকার পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যকর ফলমূল বা সবজি যেমন গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ ও কুমড়া মানসিকভাবে ভালো থাকার ওপর তেমন কোনো প্রভাবই ফেলে না। ২০ শতাংশ লোকই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে বিষণ্নতায় ভোগেন। পুরুষের চেয়ে নারীদের এ সমস্যা বেশি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিষণ্নতা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাসায়নিক পদার্থসমৃদ্ধ। এটি অন্যান্য রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় বলে ধারণা করা হয়। টমেটো লাইকোপেনের একটি ভালো উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটির কারণেই টমেটো গাঢ় লাল রঙের হয়। প্রোস্টেট ক্যান্সার ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। চীন ও জাপানের একদল গবেষক বিষণ্নতা হ্রাসে টমেটোর এ ভূমিকা খুঁজে পান। তাদের এ গবেষণাকর্ম জার্নাল অব এফেক্টিভ ডিজঅর্ডারস নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
এখন আগের মতো শুধু শীতেই নয়, গরমের সময়েও টমেটো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। কারণ অন্যসময় টমেটোর দাম অনেক বেশি থাকে, যে কারণে টমেটোকে বেশিদিন ধরে বিক্রির জন্য ফরমালিনের মতো ক্ষতিকর সামগ্রী ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এখন যেহেতু শীতের দিন। আমদানি বেশি যে কারণে এখন অনেকটা ফরমালিনমুক্ত টমেটো পাওয়া সম্ভব। তাই আসুন আমরা সবাই বেশি বেশি করে টমেটো খাই।