দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিদ্রোহীদের কারণে মালয়েশীয় বিধ্বস্ত বিমান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয় প্রথম থেকেই। পরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত মালয়েশীয়ান বিমান এমএইচ-১৭ থেকে ১৯৬টি লাশ উদ্ধার করা হলেও বিদ্রোহীরা এসব মৃতদেহ ছিনিয়ে নিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী তোরেজ শহরে মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মৃতদেহগুলো বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শহরটির ফ্রিজিং সিস্টেম সম্পন্ন রেল ওয়াগন থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বিদ্রোহী এটি টের পেয়ে আবার ছিনিয়ে নিয়েছে মৃতদেহগুলো।
ধারণা করা হচ্ছে ওই মৃতদেহগুলো বিদ্রোহীরাই ওখানে নিয়েছিল। তবে এই ঘটনার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে ইউক্রেন সরকার। গতকাল রবিবার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত জরুরি বিভাগের কর্মীরা ধ্বংসস্থলে গিয়ে কোনো মৃতদেহ দেখতে পাননি। ধারণা করা হচ্ছে যে, শনিবারই ওই মৃতদেহগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। কারণ উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে যেতে চাইলেও পুরো এলাকাটি বিদ্রোহীরা ঘিরে রেখেছিল।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অপরদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে, বিমানটির রেকর্ডার যন্ত্রটি তাদের হাতে এসেছে এবং তারা সেটাকে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নিকট এটি হস্তান্তর করবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পূর্ব ইউক্রেনে বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ধ্বংসের পর থেকে একে অপরকে দায়ী করে আসছে ইউক্রেন সরকার ও রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীরা। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরে যাচ্ছিল। রাশিয়া সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত ওই বিমানটিতে থাকা সকলেই নিহত হয়েছেন।