দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোন মানুষ তার সমগ্র জীবনে একবারও কোমরে ব্যথা অনুভব করেন নাই এমনটা বিরল। নড়াচড়া বা চলাফেরা করার সময় কোমরের অবস্থান সঠিক না থাকলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুনাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সুত্রপাত হয়। তরুনাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীলতার পরিবর্তন সাধিত হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনও উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে।
কারনঃ কোমর ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া,দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থান পরিবর্তনের কারনে হয়ে থাকে। চলাফেরা জীবিকার ধরন, খুব বেশি ভার বা ওজন তলা, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাড়িয়ে কোন কাজ করা, মেরুদণ্ডে কোন আঘাত পাওয়া, সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে থাকে। অন্যান্য কারনের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআথ্র্যাটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরেসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক সমস্যা, টিউমার, কান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসপেশীর সমস্যা,বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমসসা, অপুস্তিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুড়ি অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।
লক্ষনঃ কোমরে ব্যথা। প্রথম দিকে এ ব্যথা কম থাকে এবং ক্রমানয়ে তা বাড়তে থাকে। অধিসকাংশ ক্ষেত্রে চিত হয়ে শুয়ে থাকলে এ ব্যথা কিছূটা কমে আসে। কোমরের সামান্য নড়াচড়া হলেই ব্যথা বেড়ে যায়। কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো বা শক্ত হয়ে যাওয়া। ব্যথার কারনে এক দিকে বাকিয়ে যাওয়া। প্রাতিহিক কাজে যেমন নামাজ পড়া, তোলা পানিতে গোসল করা, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদিতে ব্যথা বেড়ে যাওয়া। অনেক সময় ব্যথা পায়ের দিকে নেমে আসা এবং অবস ভাব বা ঝিনঝিন অনুভূতিও হওয়া। পায়ের পাতার শক্তি কমে যাওয়া বা ফুট ড্রপ ও হতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাঃ প্রথেমেই বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগের ধরন অনুযায়ী কিছু মানুয়াল টেস্ট ও রেডিওলজিকা্ল টেস্ট করে রোগের উৎপত্তি ও বর্তমান অবস্থা বের করেন। তারপর সেই অনুযায়ী —
* প্রথমে বিশ্রাম ও কোমরে বেল্ট বা লাম্বার করসেট ব্যবহার ও কিছু মেডিকেসন যেমন পেইন কিলার, মাসেল রিলাক্সজেন্ট ও কিছু মাল্টিভিটামিন ব্যবহার করেন।
* কিছু পসচারাল ব্যামাম, মবিলাইজেশন, ম্যায়ফিসিয়াল রিলিজ, মাসেল এনার্জি টেকনিক ও মানুপুলেশন দিয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রন এ আনেন।
* এছাও ব্যথার ধরন অনুযায়ী কিছু ইলেক্ট্রোথেরাপি ও ক্রায়োথেরাপি ব্যবহার করে থাকেন।
* সর্বোপরি কোন পার্শ্বপতিক্ক্রিয়া ও অপারেশন ছাড়াই সাত দিন থেকে এক মাসের মধ্যে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন।
পরামর্শঃ কোমরে ব্যথা হলেই বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন, সঠিক ব্যামামের পরামর্শ নিন ব্যামাম করুন শেখানো নিয়ম অনুযায়ী ও সুস্থ থাকুন।
# ডাঃ রিপন কুমার ঘোষ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়
স্পেশালাইসড ইন পেইন ম্যানেজমেন্ট
মোবাঃ ০১৭১২-৬৫০৬৬৭
This post was last modified on ডিসেম্বর ২২, ২০২২ 1:05 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…