দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌরঝড়! সূর্যের অভ্যন্তরে সৃষ্ট ঝড়ের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ ক্ষতির হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে পৃথিবী এবং পৃথিবীবাসীরা! বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ার করে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ সৌরঝড়!
সূর্যে অতি উচ্চ তাপে আগুনের ফুলকির সঙ্গে সঙ্গে সূর্য থেকে ব্যাপক হারে বের হতে থাকে গামা রশ্মি, রঞ্জন রশ্মি, ইত্যাদি ইত্যাদি, মহাকাশে সেখানে তৈরি হয় ভয়াবহ ঝড়ের! ইন্টারন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স সোলারম্যাক্সের সদস্য অ্যাশলে ডেল এই সৌরঝড়েরর সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ে বার বার সতর্ক করে দিচ্ছেন। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির এই গবেষক বলেছেন, বিশেষভাবে ভয়ঙ্কর ধরনের এই সৌরঝড়ের প্রভাব পৃথিবীর ওপর পড়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
কি হবে এই ঝড়ের প্রভাবে আমাদের পৃথিবীতে? এই ঝড়ের প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ভেঙ্গে পড়তে পারে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে পরিবহন, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। পৃথিবীর মাটিতে এবং মাথার ওপর বিদ্যুত সঞ্চালন লাইনে বাড়তি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পৃথিবী হতে পারে সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ শূন্য।
এদিকে ইতিহাসে এর আগে অবশ্য আরেকবার সৌর ঝড় হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, একবার হয়েছিল ১৮৫৯ সালে। ওই সময় প্রায় এক ট্রিলিয়ন কিলোগ্রাম উত্তপ্ত সূর্যকণিকা পৃথিবীর বুকে ছিটকে পড়েছিলো সেকেন্ডে তিনহাজার কিলোমিটার গতিতে। তবে তখন তা পৃথিবীবাসী সেভাবে বুঝেনি বা প্রভাব দেখা যায়নি কারন ওই সময় পৃথিবীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এতো ব্যপক ছিলোনা। সেসময় মাথার ওপরে ১ লাখ ২৪ হাজার মাইল টেলিগ্রাফ লাইন ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিলো না।
নাসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পৃথিবী প্রতি দেড়শ’ বছরে একবার কেরিংটন লেভেল অতিক্রম করে। সেই হিসেবে এরই মধ্যে আমরা সম্ভাব্য সৌরঝড়ের সময়ের চেয়েও পাঁচ বছর অতিক্রম করেছি। এবং এখন আগামী এক দশকে সৌরঝড় ঘটার সম্ভাব্যতা ১২ শতাংশ।
তবে আশার বিষয় হচ্ছে নাসা এবং সংশ্লিষ্ট গবেষকরা এরই মাঝে এই ঝড় মোকাবেলার বিষয়ে বিশেষ গবেষণা শুরু করে দিয়েছে।