দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদ মাধ্যমে ঈদের আগে থেকেই সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে যে, ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হচ্ছে। গত পরশু আবার উকিল নোটিসের খবর এসেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকতা বলেছেন, আপাতত ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হচ্ছে না।
ঈদ বাজারের ক্রেজ ‘পাখি’ পোশাক নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে সমগ্র দেশজুড়ে। ভারতীয় বাংলা চ্যানেল স্টার জলসার একটি সিরিয়াল ‘বোঝে না সে বোঝেনা’ সিরিজের ‘পাখি’ চরিত্রের নামে তৈরি মেয়েদের এ পোশাক ঈদে নিতে না পেরে আত্মহত্যা এবং তালাকের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে ঈদের আগেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বাংলা চ্যানেল স্টার জলসা ও জি বাংলা ৬ আগস্ট থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরে এসব খবরের কোনো ভিত্তি নেই বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান। কিন্তু গত পরশু হাইকোর্টের এক আইনজীবি হঠাৎ করে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালযে। ওই নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় সব চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
স্টার জলসা ও ভারতীয় কয়েকটি চ্যানেলের বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধের দাবি উঠলেও তার কোনো উদ্যোগ আপাতত নেই সরকারের। তবে ডাউনলোড লিঙ্ক ফি বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, স্টার জলসা চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধের উদ্যোগ বর্তমানে নেই। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সম্প্রচার) মোহা. আবুল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে একই প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্টার জলসা চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নেই।
জানা গেছে, ভারতীয় পে-চ্যানেলের ডাউনলোড লিঙ্ক ফি বর্তমানে দেড় লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হবে। বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে তা ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে।
বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশেই ২৪টি টিভি চ্যানেল চালু আছে। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশীয় চ্যানেলগুলো প্রাইম চ্যানেলে (প্রথম দিক থেকে) দেখানোর দাবি থাকলেও তা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নাকি ভারতীয় চ্যানেলগুলোই প্রাইম চ্যানেলে রয়েছে।