দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের অনেক ধরনের আতঙ্ক থাকে। অনেক সময় ছোটখাট বিষয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়। এইসব আতঙ্কগুলো বিভিন্ন রকম ফোবিয়া নামকরণ করা হয়েছে। অবাক করা হলেও সত্য, টেকনোলোজি নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কাজ করে।
টেকনোলোজি সম্পর্কিত এই ফোবিয়া গুলোর নানান ধরণের নাম গুলো এখনও অফিসিয়াল না হলেও মেনটাল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক ম্যানুয়ালে এই ফোবিয়াগুলোর নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়নি। তাই বলে যে টেক ফোবিয়াগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা কম তাও নয়। দিন দিন এদের সংখ্যা বাড়ছে। জীবন ধারণে খুব বেশি সমস্যা না করায় বিষয়টি খুব বেশি আলোচনায় আসেনি। তবে দুনিয়া যতই প্রযুক্তিগত ভাবে আগাচ্ছে ততই টেক ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
এখন আমরা জানবো আলোচিত বিভিন্ন টেক ফোবিয়া সম্পর্কে…
টেকনোফোবিয়াঃ
অনেক মানুষ আধুনিক টেকনোলোজি নিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। জীবন ধারনের ক্ষেত্রে তারা প্রযুক্তিকে বাধা মনে করে। নিজের ক্ষতির কারণ হিসেবে দাঁড়া করিয়ে প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করে। মানুষের এই আতঙ্কের নাম টেকনোফোবিয়া।
প্রতিকারঃ যারা যারা টেকনোলোজি সম্পর্কে কম জানে বা ভুল ধারণা পোষণ করে তারাই এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত। তাই যথা সম্ভব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানুন। এর ভাল ও খারাপ দিক জানলে আপনার আতঙ্ক দূর হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হবে। প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলে না দিয়ে এর সাথে সুম্পৃক্ত হলে আপনার টেকফোবিয়া অনেকটাই কেটে যাবে।
নমোফোবিয়াঃ
নমোফোবিয়া মূলত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। এরা মোবাইল ব্যবহারের প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে পড়ে। ফোন ব্যবহার করতে না পারলে প্রচণ্ড অস্বস্থিতে ভুগে। এছাড়া ফোনের নেটওয়ার্ক, ব্যাটারির চার্জ নিয়ে তারা খুব বেশি চিন্তিত থাকে। অন্যকে ফোন ব্যবহার করতে দেখলে তারও ফোন ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগে।
প্রতিকারঃ মোবাইলে করা কাজগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। এর মধ্যে কোন গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারন করুন। অতঃপর সেই কাজগুলো অন্য কোন মাধ্যমে করার প্রচেষ্টা নিন।
সাইবারফোবিয়াঃ
এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি কম্পিউটার ব্যবহারে ভীত হন। কোন কাজ কম্পিউটারে করতে হবে জেনে আতঙ্ক বোধ করেন। এদের অনেকের কাছে মনে হয় কম্পিউটারের প্রান আছে। এটি তার সব কিছু খেয়াল করছে।
প্রতিকারঃ মূলত কম্পিউটার সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানার ফলে সাইবারফোবিয়া হয়। কম্পিউটার সম্পর্কে জানুন। প্রথম দিকে এটি বিনোদনের কাজে ব্যবহার করুন।
টেলিফোনোফোবিয়াঃ
টেলিফোনোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ফোন কল নিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ থাকেন। তার সবসময় মনে হয় সে বোকা বনবে অথবা বেঠিক কিছু ঘটবে। সামাজিক আচার আচরনে যাদের উদ্বেগ কাজ করে তারাও অনেকে টেলিফোনোফোবিয়ায় আক্রান্ত।
প্রতিকারঃ প্রথমত আপনার সামাজিক আচরন স্বাভাবিক করুন। যথাসম্ভব মিথ্যা না বলুন।
সেলফিফোবিয়াঃ
নিজেই নিজের ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করাকে সেলফি বলে। অনেকে আছেন যারা এই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না। তাদের মনে হয় তারা খুব একটা সুন্দর না। অথবা তাদের ছবি ভাল আসে না। তাই তারা এই ব্যাপারটিতে আতঙ্কগ্রস্থ থাকে।
প্রতিকারঃ অন্যরা কে কি ভাবল না ভাবল তা এড়িয়ে চলুন। নিজের মত করে নিজে চলুন।
স্বাভাবিক অনেক মানুষের মাঝে এই টেকফোবিয়া গুলো কাজ করে। তা হয়ত অনেকে বুঝতেও পারেননি। তবে জানার পর এগুলো নিয়ে সচেতন হলে খুব একটা ক্ষতির কারণ হবে না।
সূত্রঃ mashable
This post was last modified on জানুয়ারী ২৯, ২০২৪ 1:06 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…