দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পালংশাকের স্বাস্থ্যগত গুনাগুণের কথা তো সকলেই জানে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এবার পালং শাকের স্বাস্থ্যগত গুনাগুণ নয় বরং এর জ্বালানিগত গুনাগুণ নিয়েই ভাবছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পালংশাক থেকে গাড়ির জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব।
সাম্প্রতিক বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে এই গবেষণা কর্মটি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, পালংশাক থেকে প্রাকৃতিক ফুয়েল তৈরি করা সম্ভব। কেননা পালংশাকে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা মূলত উচ্চতর অ্যালকেনে থাকে। পালংশাক সুর্যালোককে ব্যবহার করে বিকল্প জ্বালানীর তৈরির সামর্থ্য রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির পাওয়ার এন্ড রিনিউবেল এনার্জি বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল গবেষক এই গবেষণাটি করেন। তারা পালংশাকের মধ্যে একটি উচ্চতর এইচডিপিই বা হাই ডেফিসিয়ান্সি প্রোটিন এনার্জি সম্বলিত কমপ্লেক্স প্রোটিন খুজে পান। গবেষকরা সেই কমপ্লেক্স প্রোটিনটিকে গ্রহণ করে তাকে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় লেজার রশ্নি দিয়ে উত্তেজিত করেন। গবেষকরা দেখতে পান যে, এই অবস্থায় কমপ্লেক্স প্রোটিনের নিউক্লিয়াসের ভেতরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তা আলোর ফোটন কণার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এই উত্তেজিত অবস্থায় এটি এনার্জি ডিফিউশন করে থাকে। যা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় গবেষকরা জ্বালানীতে রুপান্তর করবেন।
আরো জানতে পড়ুনঃ [গবেষণা] বিজ্ঞানীরা সিগারেটের ফিল্টার থেকে তৈরি করেছেন মোবাইল ব্যাটারী
এই গবেষণার অন্যতম গবেষক ইউলিয়া বলেন, কমপ্লেক্স এই প্রোটিনটি সুর্যালোক থেকে ফোটনের মাধ্যমে যে শক্তি পেয়ে থাকে তার ৬০ শতাংশ রাসায়নিক শক্তিতে রুপান্তর করে এনার্জি ডিফিউশন করে থাকে। এটি সাধারণ জ্বালানীর চেয়ে অনেক বেশি। এর আগে বিকল্প প্রাকৃতিক ফুয়েল হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রেও এতটা এনার্জি ডিফিউশন পাওয়া যায়নি বলে গবেষকদের আশা তারা পালংশাক থেকে একটি ভালোমানের উন্নত জ্বালানী পাবেন।