দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক দাবি করছেন যে, তারা সিগারেটের ফিল্টার অংশটিতে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো এবং সিগারেটের ফিল্টারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের জন্য একটি শক্তির আধার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। অর্থাৎ তারা সিগারেটের ফেলে দেওয়া ফিল্টার দিয়ে মোবাইল ফোনের ব্যাটারী তৈরি করতে পেরেছেন।
গত মঙ্গলবার বিশ্বখ্যাত জার্নাল ন্যানোটেকনোলজিতে তাদের এই গবেষণা কর্মটি প্রকাশিত হয়। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণাটি করেন। কিভাবে তারা একটি সিগারেটের ফিল্টারকে ব্যাটারীতে রুপান্তরিত করলেন এই প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সিগারেটের ফিল্টার থাকে সেলুলোজ অ্যাসিটেট নামের ফাইবার। যা মূলত এক ধরনের টক্সিন। এটি পরিবেশের জন্য খুবই খারাপ। তারা এই টক্সিনটিকে রুপান্তর করেছেন শক্তির ধারকে। তারা আরো বলেন, তাদের এই গবেষণাটি পথ দেখাচ্ছে সবুজ পরিবেশের। তারা উচ্চতর বিষক্রিয়া জাতীয় পদার্থকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে পরিণত করছেন। এই রাসায়নিক পদার্থগুলোর বেশিরভাগই হলো কার্বন বেজড উপাদান। যা মাত্র একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিণত করা হচ্ছে রাসায়নিক শক্তিতে। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাওয়ার এন্ড এনার্জি বিভাগের প্রধান এবং এই গবেষণার অন্যতম গবেষক ঝং ইং য়ি তত্ত্বাবধায়নে এই গবেষণা করা হয়।
এই গবেষণার একেবারে শেষ মুহূর্তের ফলাফলকে গবেষকরা বলছেন সুপার ক্যাপাসিটর। তারা বলছেন এটি প্রচলিত ব্যাটারীর চেয়ে অনেক বেশি শক্তি ধারণ করতে সক্ষম। এই ফিল্টার দ্বারা তৈরি ব্যাটারী অনেক দ্রুত চার্জ গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। ঝং ইং য়ি বলেন, এই উপাদান থেকে তৈরি ব্যাটারীর স্টোরেজ ক্ষমতা সাধারণ ব্যাটারির চেয়ে আরো বেশি হবে কেননা এতে কার্বন কিংবা কার্বনের জাতকের পরিমাণ থাকবে বেশি। সুপারক্যাপাসিটরের অন্যতম উপাদান হলো কার্বন। কার্বনের তড়িৎ পরিবাহিতা, ভেদনযোগ্যতা এবং তড়িৎ ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ধূমপান বিরোধী আন্দোলন সংগঠন ননস্মোকার রাইটস এর মতে প্রতিবছর সারাবিশ্বব্যাপী ৭৬৫০০০ টন ধূমপান বর্জ্য তৈরি হয়।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল