দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিপস্টিক আধুনিক নারীদের একটি অন্যতম রুপচর্চার উপকরণ। আধুনিক নারীরা তাদের প্রতিদিনের অনুষঙ্গে লিপস্টিক ছাড়া কল্পনাই করতে পারেন না। কিন্তু সেই আধুনিক নারীদের জন্য দুঃসংবাদ হলো এই যে, লিপস্টিকে ব্যবহৃত সীসা নারীদের বুদ্ধিমত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শুধুমাত্র লিপস্টিক নয়, নারীদের ঠোঁটের রুপচর্চায় লিপস্টিক, লিপবাম, লিপগ্লস কিংবা লিপলাইনারসহ সকল উপকরণেই সীসা বা লেড ব্যবহার করা হয়। সত্যিকার অর্থে লিপস্টিক বা ঠোঁটের চর্চায় মূল উপাদানই হলো লেড বা লেড সালফেটের যৌগ। আর এই লেডই হলো সীসা। গবেষকরা বলছেন, এই সকল ঠোঁট চর্চার উপকরণগুলোতে থাকা লেডের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বুদ্ধিমত্তায়, আচরণ ও শেখার ক্ষমতার উপর। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই তথ্যগুলো পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের প্রায় ২২টি লিপস্টিক ও লিপগ্লস নিয়ে পরীক্ষা করে এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেন। পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপস্টিকগুলোর মধ্যে প্রায় ১২টিতে সীসার মাত্রা পরিমাণের চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সীসার এই বেশি পরিমাণ মাত্রা মানবদেহের মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর এই ক্ষেত্রে লিপস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি আরো বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই গবেষণাটি করেন। এই গবেষণার অন্যতম প্রধান ডাঃ সিন পালফ্রে বলেন, সামান্য পরিমাণ সীসা স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলে। তাছাড়া এর মানসিক দিকের নেতিবাচক প্রভাবটি তুলনামূলক আরো বেশি। লিপস্টিকের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে গর্ভবতী মায়েদের লিপস্টিক ব্যবহার করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কেননা লিপস্টিকের এই প্রভাবটি মারাত্মকভাবে আঘাত করে গর্ভের শিশুকে। কসমেটিক্স পণ্য বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী হ্যালিনা ব্রেসলয়েক মনে করেন, নারীরা যদি লিপস্টিকসহ নানাবিধ ঠোঁট পরিচর্চার উপকরণ সম্পর্কে সচেতন হয় তবে তারা এর ব্যবহার কমিয়ে আনবে। তবে এই ক্ষেত্রে তাদের সচেতন করতে হবে।
তবে আশার কথা হলো যে, প্রসাধন বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা লেড কিংবা রাসায়নিক উপাদান ব্যতিরেকে লিপস্টিক কিংবা অন্যান্য উপকরণ তৈরির ক্ষেত্রে চর্বি বা পামওয়েলের উপর গবেষণা চালাচ্ছেন।