দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি আত্মহত্যার চেষ্টার পর থেকে নানা রকম কথা শোনা যা্চ্ছিল। দাম্পত্য নানা কারণ উঠে আসে। গতকাল দুপুরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই সেসব রহস্যের জাল উন্মোচন করেছেন ন্যান্সি!
ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেত্রকোনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সংগীতশিল্পী ন্যান্সি। প্রথমে নেত্রকোনার একটি ক্লিনিক পরে রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার ভোরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরায় বড় ভাইয়ের বাসায় ওঠেন ন্যান্সি। পরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তিনি।
কেন আপনি এই পথ বেছে নিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যান্সি বলেন, ‘এটা স্রেফ একটা দুর্ঘটনা। নানা কারণে কয়েক মাস ধরে আমার মধ্যে হতাশা কাজ করছে। ওইদিন রাগের মাথায় এমন কাজ করে ফেলেছি। আসলে এখন বুঝছি এটা করা ঠিক হয়নি।’
হতাশা প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, ‘গত ১০ মাস ধরে কোনো কারণ ছাড়াই আমার প্রায় সব গানের শো বাতিল হয়ে যাচ্ছিল। আয়োজকদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা দাবি করেন যে, আমার শো’র নাকি টিকিট বিক্রি হয় না। এটা কি কখনও বিশ্বাসযোগ্য কথা হতে পারে? আমি অন্তত বিশ্বাস করবো না। নিশ্চয়ই এর পেছনে বড় কোনো রহস্য ছিল।’
ন্যান্সি বলেন, ‘একজন শিল্পীর মূল আয় হয় স্টেজ শো থেকে। অথচ ১০ মাসে আমার সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, শুধু স্টেজ শোগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছিল। এসব হতাশার কারণে আমার ঘুম হচ্ছিল না। অনিদ্রা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন। আমার স্বামী ময়মনসিংহে চাকরি করেন, গানের জন্য কয়েক মাস ধরে আমি দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় ছিলাম। ঈদের পর মগবাজারের ভাড়া বাসা ছেড়ে নেত্রকোনায় মায়ের বাসায় চলে গেলাম। ভেবেছিলাম আত্মীয়স্বজনের মাঝে থাকলে হয়তো একটু ভালো থাকব। কিন্তু মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হলো।’
ঘুমের ওষুধ প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, ‘ঘুম না হওয়ায় কয়েক মাস ধরে চিকিৎসকের পরামর্শেই ঘুমের ওষুধ খাচ্ছিলাম। সে কারণে বাসায় দুই পাতা ঘুমের ওষুধ ছিল। ওইদিন বিকেলে জেদের বশে কয়টি খেয়েছিলাম মনে নেই। এরপরতো অসুস্থ হয়ে পড়ি।
ন্যান্সি সবশেষে বলেছেন, ‘আমি গান নিয়েই থাকতে চাই। সবার কাছে আমার একটায় অনুরোধ, প্লিজ, আমাকে বাঁচতে দিন। আমি সুস্থ্য-সুন্দরভাবে গান করে জীবন অতিবাহিত করতে চাই।’